ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজ এখন সমতায়। লিডসে জয় দিয়ে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে ৩৩৬ রানের বিশাল জয়ে ভারত সমতা ফিরিয়েছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ১-১। লর্ডসে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নামবে দুই দল। স্বাভাবিক ভাবেই নানা পরিবর্তন হবে। প্রথম দু-ম্যাচেই কার্যত ফ্ল্যাট পিচ ছিল। বিশেষ করে এজবাস্টনের পিচে এত ক্ষত তৈরি হয়েছে যে শেষ দিন ব্যাটিংয়ে সমস্যায় পড়েছে ইংল্যান্ডই। পিচে ক্ষত তৈরি হয়েছিল। যা কাজে লাগিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবীন্দ্র জাডেজা। মনে করা হচ্ছে, লর্ডসের পিচে ঘাস রাখা হবে। দুই তারকা পেসারের লড়াইও দেখা যাবে লর্ডসে। এক ম্যাচ বিশ্রামে ছিলেন জসপ্রীত বুমরা। লর্ডসে ফিরছেন। তেমনই ইংল্যান্ডও এই ম্যাচে খেলাচ্ছে জোফ্রা আর্চারকে। ভারতের একাদশে আর কী বদল হতে পারে?
প্রথম ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে তিনে ব্যাট করেছেন সাই সুদর্শন। অভিষেক ম্যাচে সেই অর্থে নজর কাড়তে ব্য়র্থ। এজবাস্টনে বাদ পড়েন সাই। তিনে ব্যাট করছিলেন করুণ নায়ার। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, আট বছর পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন হয়েছে করুণ নায়ারের। কিন্তু প্রথম দুই টেস্টে সেই অর্থে ভরসা দিতে পারেননি। লর্ডসে তাঁকে বসানো হলেও অবাক হওয়ার নেই। করুণ নায়ারকে বসানো হলে দরজা খুলবে অভিমন্যু ঈশ্বরণের। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন। এ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু টেস্ট অভিষেক হয়নি। লর্ডসে হয়তো সেই সুযোগ আসতে পারে।
বোলিংয়ে বুমরা ফেরায় জায়গা ছাড়তে হবে প্রসিধ কৃষ্ণাকে। পেস-বাউন্স থাকলে চার স্পেশালিস্ট পেসারেও যেতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় অর্শদীপ সিংকে খেলানো হতে পারে। বুমরা, সিরাজ এবং আকাশ দীপের সঙ্গে বাঁ হাতি অর্শদীপ সিং। আর পেস-বাউন্স তেমন না থাকলে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে খেলানো হতে পারে। পিচের পরিস্থিতির উপর বাকিটা নির্ভর করছে। তেমনই নীতিশ রেড্ডির জায়গায় অভিজ্ঞ শার্দূলকে ফেরানো হতে পারে।

