প্রতিটা ধাপই গুরুত্বপূর্ণ। মোহনবাগান সেই পথে কিছুটা এগোল। নতুন মরসুমে শক্তিশালী দল গড়েছে মোহনবাগান। নিজেদের লক্ষ্য প্রসঙ্গে এএফসি কাপের কথা জানিয়েছেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। গত বছর এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে হেরে যায় মোহনবাগান। এ বার দেশীয় তারকাদের পাশাপাশি বিশ্বকাপার সই করিয়েছে মোহনবাগান। কাতারে খেলা অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স ডার্বিতে কিছুক্ষণের জন্য নামলেও ছাপ ফেলতে পারেননি। এক ম্যাচেই তাঁকে নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। এ দিন গোল করে সে কারণেই বোধ হয় স্পেশাল সেলিব্রেশন। এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জিতল মোহনবাগান। ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয়েছিল কামিন্সকে। এই ম্যাচে বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজান হুয়ান ফেরান্দো। এএফসি কাপের লক্ষ্যেই শক্তিশালী দল গড়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ডুরান্ড ডার্বিতে হারায় মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাসে বেশ কিছুটা ধাক্কা লেগেছিল। এএফসি কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মাচিন্দ্রা এফসি ম্যাচ শুরুর আগে ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি মহম্মদ হাবিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ডার্বি হার ভুলে অনবদ্য শুরু মোহনবাগানের। প্রথম মিনিটেই প্রতিপক্ষ বক্সে বল পান আশিক কুরুনিয়ান। যদিও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। বেশ কিছু সুযোগের মধ্যে ২৬ মিনিটে দারুণ সম্ভাবনা সবুজ মেরুনের। বক্সের মধ্যে সাহাল আব্দুল সামাদের অনবদ্য শট কোনওরকমে আটকান মাচিন্দ্রা এফসি গোলরক্ষক। অবশেষে ৩৮ মিনিটে গোলের খাতা খোলে মোহনবাগান। গোল করেন তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। কর্নার থেকে দলকে এগিয়ে দেন। হুগো বোমাসের কর্নারে হেডে গোল করেন আনোয়ার। তবে মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য সেরা মুহূর্ত হয়ে রইল ম্যাচের ৬০ মিনিট। গোল করেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। সবুজ মেরুন জার্সিতে আনোয়ার এবং কামিন্সের গোলের খাতা খুলল। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোল খায় মোহনবাগান। সাময়িক অস্বস্তিও তৈরি হয়। তবে লিড বাড়াতে বেশি সময় নেয়নি মোহনবাগান। ৮৫ মিনিটে ফের আনোয়ার আলি। এ বারও সেট পিস। দিমিত্রি পেত্রোতসের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন আনোয়ার। ৩-১ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। শেষ অবধি স্কোরলাইন মোহনবাগানের পক্ষে এটাই থাকে। দিনের অন্য ম্যাচে, মলদ্বীপের ঈগল এফসিকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশের আবাহনী ক্লাব। ২২ অগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।