গোরুপাচার মামলায় জামিন পেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৬ মাসেরও বেশি সময় পর জামিন পেলেন মণীশ। তবে এদিনও অনুব্রতকন্যা সুকন্যার জামিন মেলেনি। পুজোর সময়টাও সম্ভবত তিহার জেলে কাটবে সুকন্যার। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, মণীশ কোঠারির বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও প্রমাণ না মেলায় তাঁকে জামিন দিতে বাধ্য হল আদালত।
চলতি বছরের শুরুতে দিল্লিতে ইডি-র সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মণীশকে। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন কেষ্টর হিসাবরক্ষক। ধরা গলা তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি কিচ্ছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়া।’
গোরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত এখন দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতের জেল হেপাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ অক্টোবর করেছে। অন্যদিকে, তিহারে বন্দি তাঁর কন্যা সুকন্যাও। আগেই সুকন্যার জেল হেপাজতের মেয়াদ আগামী বছরের জানুয়ারি করেছে আদালত। তবে দলের অনেকের আশা, সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আবেদন হয়েছে। তাতে ইতিবাচক কিছু হতেও পারে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেষ্ট।