১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ অনুব্রতর

অনুব্রত মণ্ডলকে অনুব্রত মণ্ডলের আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত  জেল হেপাজতের  নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত৷ এদিকে শেষ পর্যন্ত যদি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি যেতেই হয়, তবে শুক্রবার বিকেলেই তাঁকে নিয়ে আসানসোল স্টেশন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে উঠবেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাও খবর সূত্র মারফৎ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু, তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসানসোল আদালতের রায়ে শুক্রবার কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে অনুব্রত। এদিকে শুক্রবার প্রয়াত হন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকপালন করেন আইনজীবীরা। অন্যদিকে, শনিবার ছুটির দিনে তাঁর মামলার শুনানি হবে আদালতে হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসানসোল আদালতের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও শনিবার এই মামলা শুনবে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চ।

এদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন সাড়া দেয়নি দিল্লি হাই কোর্টও। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু, শুক্রবার তা মঞ্জুর করেননি বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা। অর্থাৎ দিল্লি হাইকোর্টেও স্বস্তি পাননি অনুব্রত মণ্ডল। অর্থাৎ শুক্রবার রাতের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না। এদিন বিচারপতি শর্মা জানান, এই নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না আদালত। এর জন্য বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টে একই ধরনের মামলার শুনানি শেষ হওয়ার আগেই কেন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা।

উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার আসানসোলে সিবিআই -এর বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হাজির করা হয় তাঁকে। সেখানেই নিজের শারীরিক সমস্যআর কথাও জানান অনুব্রত। বিচারক তাঁর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে খোঁজ নিলে অনুব্রত মণ্ডল জানান,’আমার ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে। রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। সমস্যায় রয়েছি।’

তাঁর এই শারীরিক পরিস্থিতির কথা শুনে বিচারক বলেন এই যাবতীয় বিষয়গুলি জানার পর জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। উল্লেখ্য, এদিন আসানসোল আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেনি আইনজীবী। আদালত তাঁকে আরও ১৪ দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। আপাতত তিনি রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − six =