ফের আদালতে স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের। কারণ, ফের পিছিয়ে গেল তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার মামলার শুনানি। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ শর্মার এজলাসে এই মামলাটি ওঠার কথা থাকলেও এদিন বিচারপতি মামলা শোনেনি বলে সূত্রে খবর। পাশাপাশি আদালত সূত্রে এও খবর মিলেছে, আগামী ১০ দিনের জন্য ফের অনুব্রত মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ২৩ জানুয়ারি ফের দিল্লি হাইকোর্টে ফের শুনানির সম্ভাবনা। আর সেদিনই শেষ হবে অনুব্রত আর ইডি-র মধ্যে জেরা করা নিয়ে দড়ি টানাটানির পালা। অন্যদিকে, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি দিল্লি হাইকোর্টে ইডির গ্রেপ্তারি নিয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। কারণ, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কেন তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেপ্তার করল তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ইডি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে আপাতত দিল্লি যাত্রা থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও রেহাই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির।
উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য সম্মতি দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই তৃণমূলের এই নেতা একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মর্মেই শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টে। অনুব্রত মণ্ডলকে যাতে দিল্লি না নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য বারবারই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। প্রথমে এই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, এখনই রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবেন না এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের কর্তারা। পাশাপাশি কোনওরকম প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা যাবে না এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন। ফলে আপাতত সেই রক্ষাকবচই যে বহাল রইল, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে আবার কিছুদিন আগে অবশ্য গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে মন্তব্য করেন, তদন্তের এই পর্যায়ে গোরু পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে সব মিলিয়ে গত প্রায় ৫ মাসের ওপর আসানসোল সংশোধনাগারেই রয়েছেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা।