১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতকে নিজেদের হেপাজতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট

দিল্লিতে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার মাঝরাত পর্যন্ত চলে বিশেষ তৎপরতা। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবারই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষ বিমানে। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা পরীক্ষাও করা হয়। এরপর এদিন রাতেই তাঁকে প্রথমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিচারকের সামনে উপস্থিত করা হয়।  পরে বিচারকের বাড়িতেই বসে এজলাস। এরপরই ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। তবে এক্ষেত্রে উপস্থিত থাকবেন তাঁর আইনজীবী। আধ ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সময়ও দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে।এরপরই  অবশেষে ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে হেপাজতে পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপরই বুধবার থেকে তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবীও। অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্য ৬ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন দুঁদে আইপিএস অফিসার এবং ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং, সূত্রের খবর এমনটাই।

সূত্র বলছে, সোনিয়া দুঁদে পুলিশ আধিকারিক তো বটেই সঙ্গে তিনি ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট। ছত্তিশগড়ে তাঁর বেড়ে ওঠা। ১৯৯৯ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন তিনি। সমাজবিজ্ঞানে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তিনি।

২০০৬ সালে তিনি দাবাংগিরিতে পোস্টেড ছিলেন তিনি। সেই সময় বিজেপি বিধায়ক এমপি রেনুকাচারিয়াকে থাপ্পড় মারার জন্য সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন। ঘটনার সূত্রপাত, বিরোধী এবং বিজেপি সমর্থকরা সেই সময় একটি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ওই বিধায়ককে সরতে বললেও তিনি রাজি হননি। এরপরেই সোনিয়া তাঁকে থাপ্পড় মেরে গাড়িতে বসান। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও একটা বিরাট অংশ তাঁর এই সাহসিকতার প্রশংসাও করেন।

এদিকে অনুব্রত কাণ্ডে মানি ট্রেইল খোঁজার জন্য এবার ‘প্যান ইন্ডিয়া ‘ জাল বিস্তার করছে ইডি। সূত্রের খবর এমনটাই। রিয়েল এস্টেট, সিনেমা, বড় ক্রিকেট ইভেন্টে অনুব্রত বিনিয়োগ করেছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশ যোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের ফ্ল্যাট, গাজিয়াবাদের জমি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। এবার দেশজুড়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। কাজে লাগানো হচ্ছে ইডির বিভিন্ন জোনাল অফিস ও শীর্ষ আধিকারিকদের, সূত্রের খবর এমনটাই। গোরু পাচার মামলার অর্থ কি লটারির মাধ্যমে সাদা করা হত কিনা তা নিয়েও করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিল্লিতে প্রতিদিনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে অনুব্রত মণ্ডলের। এই নিয়ে আগেই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। এবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করে একাধিক নয়া তথ্য উঠে আসতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =