পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন-অনুব্রতর যোগের এক সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছে ইডি, এমনটাই দাবি এই কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার। শুধু তাই নয়, ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, অয়নের সংস্থাকে বিভিন্ন পুরসভায় কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়ার পিছনেও রয়েছে বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার হাত। এই নেতা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করা হচ্ছে ইডি-র তরফ থেকে। অর্থাৎ, পুরনিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সামনে আসছে একটা ত্রিভুজ। এরও উপরে রয়েছেন আরও এক নেতা। ইডির তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে, তাতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই নেতা বিভিন্ন পুরসভার কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতেন অয়নের সংস্থাকে দিয়ে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হলে সেই নেতা ফোনে ধরিয়ে দিতেন রাজ্যের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীকে। ফলে পুরসভা অর্থাৎ, গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার মামলার পর এবার অনুব্রতর নাম জড়িয়ে গেল নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও।
একইসঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, ২০১৭ সালে কি করে অয়নের অখ্যআত কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হতো বিভিন্ন পুরসভা থেকে তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, এই সময় যখন রাজ্যের কোনও পুরসভাতেই পরীক্ষা নেওয়ার নিজস্ব পরিকাঠামো ছিল না তখন সাহায্য নেওযা হতো লোকাল বডির। সেই সময় আর এই ডিএলবি অর্থাৎ পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের একটি সংগঠনের একজন নেতা বীরভূমের বাসিন্দা ছিলেন। তিনিই নিজের প্রভাব খাটাতেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন পুরসভায় ফোন করে সুপারিশ করতেন অয়নের কোম্পানিকে যেন সমস্ত টেন্ডারের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়। । সূত্রের দাবি, তাতে কেউ রাজি না হলে এরপর এক মন্ত্রীকে ফোন ধরিয়ে দিতেন ওই নেতা। এ নিয়ে পুরসভার অন্দরেও সে সময় গুঞ্জন ওঠে, কেন এত বড় টেন্ডার এরকম এক অখ্যাত সংস্থাকে দেওয়া হবে। তবে সেসব যুক্তির ধার ধারতেন না পুর প্রশাসনের অনেকেই। অনুব্রতর দাপটেই কি ওই বীরভূমের নেতার এমন দাপট ছিল, উত্তর খুঁজছে ইডি।
এদিকে ইডি সূত্রে খবর, ধৃত অয়ন শীলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়নের একটি চেন কাজ করত। সেখানে বেশ কয়েকজন ‘মিডলম্যান’ও ছিলেন।