এ যেন আবার ববিতা সরকার মামলারই পুনরাবৃত্তি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কম নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার নিয়োগ খারিজ করে ববিতাকে ওই পদে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এবার আর এক চাকরিপ্রার্থী প্রিয়াঙ্কা সাউ একইরকম অভিযোগ তুললেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া এক ব্যক্তিকে এসএসসি চাকরি দিয়েছে। প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের মামলাটি উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। আদালতের মন্তব্য, ‘পুজোর আগেই চাকরি দিন। এঁরা বহুদিন বসে আছে।’ বিচারপতি কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, এদিনই আবেদনকারী ও তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে বৈঠক করে আদালতকে পরবর্তী সপ্তাহে একটি রিপোর্ট দিতে।শুক্রবার বিকেলে এই অর্ডার সমেত এসএসসিতে যাবেন মামলাকারী। কমিশনের অফিসে প্রিয়াঙ্কা সাউ ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বুধবারের মধ্যে আবেদনকারীকে জানাতে হবে চেয়ারম্যানকে। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের মেধাতালিকা অনুযায়ী মূলত মহিলা ক্যাটেগরিতে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রিয়ঙ্কার নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে। এদিকে পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও, অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিচারপতির চাকরির প্রস্তাবে কমিশন সময় চাইলে বিচারপতির মন্তব্য, ‘পুজোর আগে চাকরি দিন। এঁরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, তিনি সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউ বলেন, ‘আমি একাদশ-দ্বাদশ ইংরেজি শিক্ষক পদপ্রার্থী। আমি যে নম্বর পেয়েছি, তার থেকে কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়নি, কিছু জানানোও হয়নি। সেই কারণে আমি আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আমার আইনজীবী এবং কমিশনের আইনজীবীকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে।’