একদিকে যখন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা কমল নাথের কংগ্রেস ছাড়া নিয়ে প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন সেই তালিকায় উঠে এল আরও একটি নাম। মণীশ তিওয়ারি ।
পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ নকুল নাথকে নিয়ে শনিবার দিল্লিতে গিয়েছেন কমল। তার আগে নকুল নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে ‘কংগ্রেস’ পরিচয় মুছে দেন। যা জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিল। রবিবারই তিনি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে এমনটাই খবর ভাসছে হাওয়ায়। চর্চা শুরু হয়েছে কমল নাথ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলে, তা কত বড় ধাক্কা হবে কংগ্রেসের জন্য। তারই মধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিকে নিয়ে। তিনিও নাকি বিজেপির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলবদল করতে পারেন তিনি। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
যদিও রবিবার মণীশ তিওয়ারির অফিসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। কংগ্রেস সাংসদের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মণীশ তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। উনি নিজের কেন্দ্রেই রয়েছেন এবং উন্নয়ন কাজ দেখছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে সম্প্রতি মিলিন্দ দেওরা, বাবা সিদ্দিকি, অশোক চাভান থেক শুরু করে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারা হয় বিজেপি, নয়তো বিজেপি ঘনিষ্ঠ কোনও দলে যোগ দিয়েছেন।
মণীশকে নিয়ে অতীতেও কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ‘ভরাডুবি’র পর হাত শিবিরের মধ্যেই বিদ্রোহের সুর চওড়া হয়েছিল। সেই সব ‘বিদ্রোহী’ কংগ্রেস নেতার মধ্যে ছিলেন মণীশও। তিনি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেসের এই ভরাডুবির কারণ ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতা কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।