নিয়োগ দুর্নীতিতে আর ১০ টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলল অয়ন শীলের, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে অয়নের ৪২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলল। এই অ্যাকাউন্টগুলো রয়েছে অয়নের নিজের, পরিবারের ও কোম্পানির নামে। অয়নের স্ত্রী কাকলির নামে একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে কাকলির দাবি, তিনি এব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তবে এখানে পর্শ্ন একটাই, অয়নের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেও, বান্ধবীর শ্বেতার নামে অ্যাকাউন্ট কীভাবে তা নিয়ে। কারণ, শ্বেতা নিজে দাবি করেছেন তিনি কি স্রেফ অয়নের বান্ধবীই। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহেল অয়নের সঙ্গে অন্য কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিয়েও। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, যে কটি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, সেগুলির বেশিরভাগই, অয়নের বাবা সদানন্দ শীল, স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক শীল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে। কিন্তু সেরকমই একটি অ্যাকাউন্টে নাম রয়েছে শ্বেতার। এই রকম মোট ৮ জনের নামে অ্যাকাউন্টের তথ্য অয়নের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। এর মধ্যে অয়নের নামেই রয়েছে অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কে। কিছু সরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও রয়েছে। সব ক’টি ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখবেন ইডি আধিকারিকরা। এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কত লেনদেন খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টও চাওয়া হয়েছে ইডির তফ থেকে। সঙ্গে চাওয়া হয়েছে অয়ন, শ্বেতা-সহ পরিবারের সদস্যদের গত ৫ বছরের আয়করের রিটার্নের নথিও। আর এই নথি চেয়েছে আয়কর দপ্তর।
ইডি সূত্রে এও জানানো হচ্ছে, অয়ন শীল একদিকে যেমন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মালিক, অন্যদিকে, প্রযোজনা সংস্থার মালিকও। অয়ন শীলের আপাতত দুটি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। একটির নাম এবিএস ইনফোজ়ে প্রাইভেট লিমিটেড। এটি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে নথিভুক্ত। এই সংস্থার দুই ডিরেক্টর। অয়ন শীল ও কাকলি শীল। ৯ বছরের সংস্থাটি এখনও চালু রয়েছে। আর এই কোম্পানির নামে দুটি গাড়ি রয়েছে।