২ গোলে পিছিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য জয় ইস্টবেঙ্গলের

ইস্টবেঙ্গল আগেই অস্কার পেয়েছে! কোচ হিসেবে। হাফটাইমে ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের কী বলেছিলেন কোচ? এই প্রশ্নটা অবশ্যই জানার ইচ্ছে থাকবে প্রত্যেকের। হবে নাই বা কেন! ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে শেষ কবে ইস্টবেঙ্গলের এমন দাপট দেখা গিয়েছে? সমর্থকদের গর্জন অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। যুবভারতীতে যেন সেটাই হল। এমনিতেই চোট এবং কার্ড সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়া। তারপর এত্ত বড় জয়!

যাঁরা প্রথমার্থে দলকে ০-২ পিছিয়ে থাকা দেখে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিংবা টিভির চ্যানেল বদলেছেন! তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, ম্যাচ নয়-যেন হাইলাইটস। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন! স্বপ্নের! আর কী বলা যায়? ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ভালো বলতে পারবেন। প্রথমার্ধে দু-গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ২১ মিনিটে লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে পঞ্জাবকে এগিয়ে দেন আসমির। তিন মিনিটের ব্যবধানে ২-০ করেন ভিদাল। প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি। ছোট ছোট ভুলগুলো না করলে ২ গোলের বোঝা নিয়ে বিরতিতে যেতে হত না।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নাওরেম মহেশকে তুলে তরুণ ফুটবলার বিষ্ণুকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। ৪৬ মিনিটে ক্লেটন সিলভার ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। ৮ মিনিটের ব্যবধানে সমতা ফেরান বিষ্ণু। ইস্টবেঙ্গল ক্রমশ চাপে রাখে পঞ্জাব ডিফেন্সকে। এতেই ভুল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান সুরেশ। তাঁর আত্মঘাতী গোলে ৩-২ লিড ইস্টবেঙ্গলের!

এখানেই শেষ নয়। লিডের পরই পঞ্জাবের বিপদ বাড়ে। একটা হলুদ কার্ড আগেই দেখেছিলেন লুংডিম। লিড হারানোর পর অতিরিক্ত চাপে পঞ্জাব। যার ফলে ভুলও বেশি। বিষ্ণুকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুংডিম। পঞ্জাব এফসি ১০ জনে হয়ে দাঁড়ায়। তার ২ মিনিটের মধ্যেই ডেভিডের গোলে ৪-২ ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর ক্রসে ফ্লাইং হেডে গোল ডেভিডের।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এই নিয়ে পঞ্চমবার কোনও টিম প্রথমার্ধে ২ কিংবা তার বেশি গোলে পিছিয়ে থেকে জিতেছে। ইস্টবেঙ্গল প্রথমবার এমন কীর্তি গড়ল। অস্কার ব্রুজোর উপর প্রত্যাশাও বাড়ল, সমর্থকদের গর্জনেই তা পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 10 =