নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী টেলি কনফারেন্সে কথা বললেন কারিগরি শিল্পীদের সঙ্গে। তাঁদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বক্তব্য রাখলেন মোদী। মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে সারা দেশে ১১টি কেন্দ্রকে বেছে নেওয়া হয় বিশ্বকর্মাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে পশ্চিমবাংলায় একমাত্র কেন্দ্র ছিল আসানসোল। আসানসোলে রেলের অডিটোরিয়াম বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউটে (ডুরান্ড হল) বিজেপির নেতা ও সমর্থকদের সঙ্গে জেলার শিল্পীরা উপস্থিত হন।
তাঁদের সংবর্ধনা জানান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার ও বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যায় শিল্পীরা সরাসরি কথা বলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা বিস্তারিতভাবে কারিগরি শিল্পীদের ব্যাখ্যা করেন। শিল্পীরাও নিজের নিজের হাতের কাজ এদিন নিয়ে আসেন ও উপহার তুলে দেন বিধায়কের হাতে। এদিন জেলার শিল্পীদের নাম পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায়।
বিধায়ক তাঁদের জানান, বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা হস্তশিল্পীদের সুবিধার জন্য কম ও সহজ কিস্তিতে চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা। সমস্ত দেশবাসী, যাঁরা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পটিতে খুব সামান্য পরিমাণ সুদে তিন লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ পাবেন এই শিল্পীরা। দেশের বিভিন্ন শিল্পী এবং হস্তশিল্পীদের সাহায্য করাই প্রধান উদ্দেশ্য। এতে এই শিল্পীরা দু’টি পর্যায়ে মাত্র ৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন। প্রথমে ১ লাখ এবং পরে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দফার ঋণের সময় ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় দফার ঋণ পরিশোধ করার সময় থাকবে ৩০ মাস।
এই শিল্পীদের দেওয়া হবে ‘স্কিল ডেভলপমেন্ট’ ট্রেনিং। সেই সময়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে ভাতা, জিনিসপত্র কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের দেওয়া হবে পরিচয়পত্রও। চলতি বছরের বাজেটেই এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য বাজেটে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করাও হয়েছে। এদিন কারিগরি শিল্পীরা জানান, এই যোজনার ঘোষণায় তাঁরা আপ্লুত।