আগামী বছরই লোকসভা ভোট। তার আগে বাংলার সরকার যেমন প্রতি পদে নিশানা করছে কেন্দ্রকে, তেমন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও আঙুল তুলছে রাজ্যের দিকে। বুধের কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে আক্রমণ শানাবেন তা জানাই ছিল।ধর্মতলার সভা থেকে বাংলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে সরব হবেন, তা নিশ্চিত ছিল, হলও তাই।
এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে গেলেন শাহ। দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত মন্ত্রী ও নেতাদের নাম উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে শাহ বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। দিদি রোজ দুর্গানাম জপছেন, যাতে ভাইপোর নাম না আসে।’
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গত বছরের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পার্থর বান্ধবী অপির্তা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫১ কোটি নগদ টাকা। এরপরই পার্থকে দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই খবর হয়তো অমিত শাহের কাছে নেই। সেকারণেই পার্থর নামও টেনে এনেছেন তিনি।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গুজরাতে রাজনীতি করেছি। কখনও কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত বান্ডিল বান্ডিল টাকা বেরোতে দেখিনি।’
গরু পাচারের অভিযোগে গত বছর অগস্টে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আর গত ২৬ অগস্ট গভীর রাতে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে ইডি।এ সব নিয়ে বিজেপির হেভি ওয়েট নেতা আক্রমণ শানালেও, তৃণমূলের তরফে বারে বারে অভিযোগ করা হয়েছে, যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের পর্যুদস্ত করতে চাইছে মোদী সরকার। দলের তরফে সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্পষ্ট জানিয়েছেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ করা হোক। কিন্তু তদন্তের নামে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন অমিত শাহর বক্তৃতার আগে বিধানসভায় বিজেপির উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘একটার জায়গায় দুটো বিড়ি খেলে চোর? আর গেরুয়া পরলে সাধু’