নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: মুম্বই গিয়ে যা কিছু শিখে এসেছেন, সেগুলি পাথেয় করে মাত্র ২৫০ টাকা প্রতি মাসের বিনিময়ে ২৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে বাঁকুড়ার মেয়ে আমিশা খাঁ নাচের স্কুল খুলে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজছেন।
নৃত্য ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে বাঁকুড়ার তিন কন্যা মুম্বই গিয়ে একটি জনপ্রিয় সর্বভারতীয় নাচের রিয়ালিটি শোতে যোগ দিয়েছিলন। তাঁদের মধ্যেই একজন ছিলেন আমিশা খাঁ। প্রতিযোগিতায় একের পর এক বড় শিল্পীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করে সঞ্চয় করা শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান বাঁকুড়ার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে।
বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকার আমিশার বাঁকুড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার অভিযানটাও সহজ ছিল না। বয়স যখন ৫ বছর তখন পারিবারিক কারণে আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। আমিশা খাঁর মা মিঠু খাঁ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে সংসারের হাল ধরেন। তখন থেকেই আমিশার চোখে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দানা বাঁধে। নিজেও একসময় বেসরকারি একটি হাসপাতালে কাজ করতেন আমিশা। সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ ভাবে নাচের প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।
আমিশা খাঁ জানান, মূলত ধারাবাহিকতা, শরীরের ফিটনেস এবং অনুশাসন কী ভাবে ধরে রাখতে হয়, তাই শিখে এসেছেন তিনি এবং এই বিষয়গুলি বাঁকুড়ার নৃত্য প্রেমী ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরতে চান তিনি। সবরকমেরই নাচ শেখান আমিশা। অ্যাক্রবাটিক ডান্স এবং ফিটনেসের ওপরে নির্ভরশীল নাচের ওপরে আগ্রহী নতুন প্রজন্মের খুদেরা। নাচ ছাড়াও বাগান তৈরির শখ রয়েছে আমিশার। আমিশা খাঁর ছাত্রী মৌমিতা দাস বলেন, ‘দিদির কাছে আমাদের স্বপ্ন পূরণের রসদ পাচ্ছি। বডি ফিটনেস, ডিসিপ্লিন এবং কী ভাবে বড় মঞ্চে কাজ করতে হয় সেটা শিখছি।’