সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই প্রোটিয়াদের ‘চমকে দিল’ আমেরিকা

গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল আমেরিকা। প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা। টুর্নামেন্টের যুগ্ম আয়োজক। প্রতি ম্যাচেই তাদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। কানাডার বিরুদ্ধে ১৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল আমেরিকা। সেখানেই যেন ইঙ্গিত ছিল, এই বিশ্বকাপে ছাপ ফেলতে মরিয়া। হার-জিতে সাফল্য বিচার করলে হয়তো আমেরিকা এখনও সফল নয়। তবে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারানো, ভারতকে সাময়িক চাপে ফেলা, এগুলো সাফল্যের মধ্যে ধরাই যায়। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও চমকে দিল তারা। যদিও অল্পের জন্য হার। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে পার্থক্য গড়ে দিলেন কাগিসো রাবাডা।

দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আমেরিকা ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব শুরু হল। চোটের জন্য এই ম্যাচেও নিয়মিত ক্যাপ্টেন মনাঙ্ক প্যাটেলকে পায়নি আমেরিকা। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোন্স। প্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং সৌরভ নেত্রভালকরের। ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। কুইন্টন ডি’কক এবং প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন এইডেন মার্কব়্যামের অনবদ্য ব্যাটিং। কুইন্টন হাফসেঞ্চুরি করেন। মিডল অর্ডারে হেনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিস্তান স্টাবসের ক্যামিও ইনিংসে আমেরিকাকে ১৯৫ রানের বড় টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

রান তাড়ায় শুরুটা তুলনামূলক ভালো হলেও এক প্রান্ত থেকে পরপর উইকেট হারাতে থাকে আমেরিকা। ১১.১ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ওপেনার আদ্রিয়েস গাউসের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন হরমীত সিং। মাত্র ৪৩ বলে ৯১ রান যোগ করে এই জুটি। শেষ দু-ওভারে আমেরিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ রান। এই জুটি যে ভাবে খেলছিল, তাতে আরও একটা অঘটনের সাক্ষী হতে চলেছিল ক্রিকেট বিশ্ব।

ম্যাচের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে হরমীতের উইকেট নিয়ে বড়রকমের ধাক্কা অভিজ্ঞ প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডা। এই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ১ উইকেট রাবাডার। শেষ ওভারে ২৬ রানের টার্গেট অনেকটাই বেশি। আদ্রিয়েস গাউস ৪৭ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। কাগিসো রাবাডা ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 13 =