কাবুলে গোপন ডেরাতে আমেরিকার ড্রোন হানায় নিহত হয়েছেন আল কায়দার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাবুলে আল কায়দা প্রধানের বাড়িতে হামলার কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যে ঘরে আয়মান আল-জাওয়াহিরি ছিলেন, তার জানলা উড়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি সব ঘর, পারিপার্শ্বিক এলাকা— কোথাও হামলার কোনও চিহ্নই নেই! এই হামলায় কোনও শব্দ হয়নি। এমনকী, আল কায়দা প্রধান ছাড়া কারও গায়ে আঁচড়ও পড়েনি! উল্লেখ্য জওয়াহিরির মাথার দাম নির্ধারিত হয়েছিল ২ হাজার কোটি টাকা।
আয়মান আল-জাওয়াহিরি হত্যায় ঠিক কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, তা এখনও জানায়নি আমেরিকা। তবে বিস্ফোরণের প্রকৃতি ইঙ্গিত করছে, আল কায়দার শীর্ষনেতাকে হত্যা করতে ব্যবহার হয়েছে ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স’। এই ‘ওয়ারহেড-লেস মিসাইল’-এর বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ্যবস্তুকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে। কিন্তু বিস্ফোরণ হবে না। কোনও শব্দ হবে না।
সোমবার এসম্পর্কে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানাচ্ছেন, ‘এই মিশনটি নিপুণভাবে পরিকল্পিত। এবং কোনও সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানি না ঘটিয়েই অপারশেনটি সফল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এক সপ্তাহে যখন আমাদের জানানো হয়, এবার হামলা চালানো যেতে পারে, আমি সবুজ সংকেত দিই। ওর পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও নাগরিকের মৃত্যু হয়নি।’
জানা যাচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল, এতে বিস্ফোরণ হয় না। এতে থাকে ছ’টি রেজারের মতো ব্লেড। ওই ধারালো ব্লেডেই লক্ষ্যবস্তুকে নিকেশ করা হয়। সাধারণত নাগরিকদের প্রাণহানি বা সম্পত্তি নষ্ট না করেই কোনও সন্ত্রাসবাদী নেতাকে খতম করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এবার সেই অস্ত্রই বেছে নেওয়া হয় জওয়াহিরিকে খতম করতে।