হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ৯ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন এক প্রার্থী। অথচ প্যানেলে নামই ছিল না চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য এই প্রার্থীর। এদিকে প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়ার পর চাকরির অপেক্ষায় ৯ বছর কেটে গিয়েছে চাকরি প্রার্থী অম্বিকা দাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অবশেষে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন তিনি।
নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার ফের ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০১২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় ও ইন্টারভিউ হয় ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। প্যানেলে নাম না থাকায় আরটিআই করেন অম্বিকা দাস গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তিনি জানতে পারেন প্যানেলের শেষে যে পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে, তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন অম্বিকা। এরপরই ২০২২-এ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে সেই মামলা উঠলে হাইকোর্ট অম্বিকাকে যোগ্য প্রার্থী বলে উল্লেখ করেন। এরপই উত্তর ২৪ পরগনার ডিপিএসসি-কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যাতে ওই প্রার্থীকে অবিলম্বে চাকরি দেওয়া হয়।
এদিন আদালতের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়ার পর অম্বিকা দাস গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বছর শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এদিনের আদালতের এই নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ববিতা সরকারের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল একই রকম ঘটনা। অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ায় মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার। আইনি লড়াইয়ের পর শিক্ষিকা পদে চাকরি পান তিনি। আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে সেই পদে চাকরি দেওয়া হয় ববিতাকে। এবার প্রাথমিকেও হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন অম্বিকা।