হাইকোর্টে স্বস্তি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের। ৬ মে-র মধ্যে তাঁর শান্তিনিকেতের পৈতৃক বাড়ির ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দেওয়ার কথা বলেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই নোটিসের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নিম্ন আদালতে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীর তরফে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। অর্থনীতিবিদের আশঙ্কা ছিল, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে পৌঁছে যেতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় তিনি আপাতত স্বস্তিতে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী বুধবার নিম্ন আদালতে রয়েছে ওই মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পৈতৃক ভিটের ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। ৬ মে-র মধ্যে ওই জায়গা খালি করার নোটিস দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই ইস্যুতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তিনি। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টে শুনানি হয়।
এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বীরভূমের নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছিল অমর্ত্য সেনকে। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সময় বেঁধে দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। আবেদনে তিনি জানান, ৬ মে অর্থাৎ শনিবারের পর কর্তৃপক্ষ তাঁর জায়গা কেড়ে নিতে পারে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, সিউড়ি আদালত তাঁর আবেদনের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি।
এদিকে বিশ্বভারতীর তরফে আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস এদিন শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, নিম্ন আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। তার মাঝে কীভাবে নতুন মামলা করা হল তা নিয়ে। ফলে হাইকোর্ট শুনতে পারে না এই মামলা। ইতিমধ্যেই স্থিতাবস্থার নির্দেশ রয়েছে। ফলে পরে নিম্ন আদালতে শুনানি হলে কী সমস্যা সেই প্রশ্নও তোলেন আইনজীবী। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর তরফের আইনজীবী এও জানান, ‘১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে আছেন। ইউনিভার্সিটির জমি নিয়ে আছেন। লজ্জা পাওয়া উচিৎ।’ অমর্ত্য সেনের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘স্থিতাবস্থা থাকলেও তারা সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে আসতে পারে। সেই আশঙ্কা করছেন অমর্ত্য সেন।’ এরপরই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি।