বিজেপির সহযোগী হয়েছিলেন আগেই। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্ম-শিবিরে যোগ দিতে পারেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। শুক্রবার বিজেপি সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, আগামী সপ্তাহের সোমবার দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অমরেন্দ্রর দল ‘পঞ্চাব লোক কংগ্রেস’ মিশে যাবে বিজেপিতে। নাড্ডার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও ইতিমধ্যে অমরিন্দর বৈঠকে হয়েছে। সেখানেই বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাব কংগ্রেসে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে অমরিন্দরকে সরিয়েছিল দলের শীর্ষনেতৃত্ব। এর পর গত নভেম্বরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে সাত পাতার চিঠি লিখে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগের নয়া দল ‘পঞ্চাব লোক কংগ্রেস’ গড়ে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছিলেন অমরিন্দর। কিন্তু বিধানসভা ভোটে একটি আসনেও জিততে পারেনি তাঁর দল। অমরেন্দ্র তাঁর পুরনো আসনে হেরে গিয়েছিলেন।
পঞ্জাবের (Punjab) বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন অমরিন্দর। তবে তাতে কারোওরই খুব একটা লাভ হয়নি। আপের কাছে ধরাশায়ী হয় বিজেপি। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় হন অমরিন্দর। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, এবার সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন অমরিন্দর। কিন্তু ছয় মাস কেটে গেলেও নিজের দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের হয়েই কাজ করেছেন তিনি।
কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলন ঘিরে মতবিরোধের জেরে শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পরে পঞ্জাবে দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, অকালি দলের বেশ কয়েক জন নেতাকে দলে টেনেছে তারা। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল ঝাখর, প্রাক্তন মন্ত্রী বলবীর সিং সিধু, গুরপ্রীত সিংয়ের মতো অমরিন্দর ঘনিষ্ঠেরা রয়েছে সেই তালিকায়। ঘটনাচক্রে, তাঁদের সকলকেই বিজেপিতে আনার ক্ষেত্রে ‘ভূমিকা’ রয়েছে শাহের।