বয়স বাড়লে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা হয় অনেকেরই। অল্প-বিস্তর ভুলে যাওয়া বিশেষ সমস্যার না হলেও, খেয়ে ভুলে যাওয়া, বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের পরিচয় ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা কিন্তু বেশ জটিল আকার ধারণ করে।স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত অ্যালঝাইমার্স রোগের প্রাথমিক উপসর্গ।
অনেক সাধারণ বিষয়ও বেমালুম ভুলে যান অনেকে। মনে রাখতে পারেন না। তা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপের শেষ থাকে না। আপাত ভাবে এই সমস্যা তুচ্ছ মনে হলেও ভুলে যাওয়ার সমস্যা সব সময়ে মজার বিষয় না-ও হতে পারে। বেশির ভাগ সময়েই স্মৃতিভ্রংশের সমস্যার সূচনা হয় এ ভাবেই।
শুরুর দিকে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্তরা সদ্য ঘটা কথোপকথন কিংবা ঘটনাগুলি ভুলে যেতে পারেন। জিনিসপত্র ভুল জায়গায় রাখা, স্থান এবং বস্তুর নাম ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দটি ভাবতে সমস্যা হওয়া এবং বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকা। তবে এগুলো ছাড়াও অ্যালঝাইমার্স রোগের অন্যান্য উপসর্গ থাকে। যেগুলি নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার।
এক কথা বার বার বলা
একই বিষয় নিয়ে বার বার করে বলে যাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু অ্যালঝাইমার্সের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, এই রোগে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না সব সময়ে। কিছু ক্ষণ আগে বলা কথা পরমুহূর্তে ভুলে যাওয়া এবং আবার বলার প্রবণতা তৈরি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
মেজাজ পরিবর্তন
ঘন ঘন মনের অবস্থার বদল অ্যালঝাইমার্সের অন্যতম একটি উপসর্গ এটি। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। শারীরিক কোনও সমস্যা থেকেও মেজাজ বিগড়ে যায়। তবে সেটা যদি খুব বেশি বার হয়, তা হলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারা
মাঝপথ থেকে কোনও কাজ ফেলে উঠে যাওয়ার প্রবণতা অ্যালঝাইমার্সের উপসর্গ। রান্না হোক কিংবা অন্য কোনও কাজ শেষ না করে হঠাৎ উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন? তা হলে অতি অবশ্যই এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।