নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল পবন সিংয়ের। কিন্তু রাত কাটতে না কাটতেই তিনি এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপর রাজনৈতিক মহলে চাপা গুঞ্জন শুরু হয় কে হবেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী। পরে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকজনের নামের মধ্যে উঠে আসে আসানসোলের পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। কিন্তু অবশেষে এসএস আলুওয়ালিয়ার নাম ঘোষণা করে বিজেপি।
এই নাম ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক মহলে একটাই আলোচনার বিষয় ছিল প্রার্থী না হতে পারায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি কি ভূমিকা নেবেন। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে আলুওয়ালিয়াকে জেতাতে প্রচারে মুখ্য ভূমিকা নেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার শুধু জয়ের দাবিই করেননি, দলের প্রার্থী কত ভোটে জয়ী হতে পারেন তার মার্জিনও বলে দিয়েছেন।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া ৫০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা জোরদার হয়েছে। এই পোস্টে কেউ কেউ পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষ মতও দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, প্রায় প্রত্যেক নির্বাচনে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও, এ বছর লোকসভা নির্বাচনে ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সেরকম কোনও ঘটনার অভিযোগ ওঠেনি কোনও রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে। ভোট পূর্ববর্তী কালে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারের পারদ চড়তে সেরকম দেখা যায়নি বলে অভিমত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের। ভোটারদের মতে, এইরকম শান্তিপূর্ণ নিঃশধ ভোট কোন দিকে যায় সেটাই লক্ষণীয়। এমতবস্থায় প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেদিকেই নজর রেখেছে শিল্পাঞ্চলবাসী ও রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ২০২২ এর উপনির্বাচনে আসানসোল থেকে জিতেছেন। বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া বাংলার ভোট লড়াইয়ে ময়দানে তৃতীয়বার আসানসোল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এর আগে পরপর দু’বার তিনি দার্জিলিং ও বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জেতেন ও সাংসদ হন। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী জাহানারা খান এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন।