হাওড়া : দেখতে অনেকটা হেলিকপ্টারের পাখা হলেও তা নয়, এটা সিলিং ফ্যান। হাওড়া স্টেশনে ঢুকলে এই পাখাগুলো দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়। এত ধির গতিতে ঘোরে যে, দেখে বিশ্বাস হয় না এর অসাধারণ কার্যকারিতা। যা বোঝা যায় এর নিচে বসলে। হাওড়া স্টেশনে বসানো হয়েছে ১১টি হাই ভল্যুম লো-স্পিড পাখা (এইচভিএলএস)। এক একটি পাখা ১৫৭৯ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে হাওয়া দিতে সক্ষম। এই পাখাগুলি বসানোর ফলে ভারতীয় রেলের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। স্টেশনের নতুন ও পুরোনো কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১১১টি ছোট পাখার পরিবর্তে এই পাখাগুলো বসানো হয়।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে এমন বিশাল মাপের পাখা বসাতে ৪৭ লক্ষ টাকার কিছু বেশি খরচ হয়েছে। স্টেশনের পুরোনো কমপ্লেক্সে সাতটি ও নতুন কমপ্লেক্সে চারটি এমন পাখা বসেছে। এছাড়া, এগুলো উন্নত প্রযুক্তির পাখা। এই পাখাগুলো ধীরে ধীরে ঘোরে অথচ হাওয়া বেশি তৈরি করে। এর ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় অনেকটা। এই মুহূর্তে তিনটি এ ধরণের পাখা রয়েছে।
অনেকেই হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আসেন নিজের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে। হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে যে একটু হাওয়া খাবেন তেমন জায়গারও বড্ড অভাব। ফ্যান থাকলেও তার সামনে জড়ো হয়ে থাকে অনেকেই। হাওড়া স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পূর্ব রেল এই উদ্যোগ নিয়েছে। স্টেশনে বসেছে বিশালাকার সিলিং ফ্যান। যার নিচে বসলে মিলবে এক মুহূর্তেই গরমের হাত থেকে মুক্তি। হাওড়া স্টেশনের ফুড কোর্ড লাগোয়া এলাকায় এই ফ্যান বসানো হয়েছে।
স্টেশনের এই এলাকা অনেকটা প্রশস্ত। যাত্রীরা এখানেই ট্রেনের জন্য মূলত অপেক্ষা করেন। বসার এবং দাঁড়ানোর জায়গা রয়েছে অনেকটা। সাধারণ পাখা হলে তার নিচে দাঁড়ালে কয়েকজন হাওয়া পান। কিন্তু, এই দৈত্যাকার পাখাটি ২৪ ফুট দীর্ঘ। ওজন প্রায় এক কুইন্টাল। মাটি থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে পাখাটি বসানো হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ফ্যানটির নিচে ৪০ ফুট ব্যাসার্ধ পর্যন্ত ভালমতো হাওয়া মিলবে।
পূর্ব রেলের থেকে জানানো হয়েছে, মুম্বই এবং আহমেদাবাদে এধরনের দৈত্যাকার ফ্যান রয়েছে। পূর্ব রেলের সবথেকে ব্যস্ত স্টেশন হাওড়াতেও সেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। বসানোর পর থেকে ক্লান্তিহীনভাবে বনবনিয়ে ঘুরছে পাখাটি। আর এই পাখার হওয়ার সঙ্গে নিত্যদিন জুড়ে আছেন নিত্যযাত্রী থেকে রেলের সফররত যাত্রীরা।