নেট রান রেটে এগিয়ে থাকলেও নকআউটে ‘দ্বিতীয়’ বাংলা

গ্রুপ পর্বর শেষ ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স। বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা। পরিস্থিতি এমনই ছিল। শেষ ম্যাচ জিতলেও নিয়মের বেড়াজালে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হবে বাংলাকে। গ্রুপ সেরা হয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে তামিলনাডু। লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রশিক্ষণাধীন বাংলা দল শেষ ম্যাচ জিতে নেট রান রেটেও এগিয়ে। তবে গ্রুপে তামিলনাডুর কাছে হারায় হেড টু হেডে দ্বিতীয় হল বাংলা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখালেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সঙ্গে তরুণ অলরাউন্ডার করণ লালের অনবদ্য পারফরম্যান্স। আর বোলাররা তো ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেনই। মরসুমের শুরুতে মুস্তাক আলি ট্রফির ব্যর্থতা ছিল। বিজয় হাজারে ট্রফিতে সেই হতাশা বদলানোর চেষ্টায় বাংলা দল।

গ্রুপের শেষ ম্যাচে পঞ্জাবের মুখোমুখি হয় বাংলা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাওয়ারফুল পঞ্জাব। দুই ওপেনার শাকির হাবিব গান্ধী এবং অভিষেক পোড়েল সুবিধা করতে পারেননি। তিনে নামা অধিনায়ক সুদীপ ঘরামির অবদান ২৬ রান। বাংলাকে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। ১১৬ বলে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাত্র ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলা। অনুষ্টুপ এবং তরুণ অলরাউন্ডার করণ লালের সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪২ রান করে বাংলা। করণ লাল ৬৬ রান করেন।

বাংলার বোলাররা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন। বিশেষ করে বলতে হয় মহম্মদ সামির ভাই কাইফের কথা। পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও নজর কাড়লেন। তারকা সমৃদ্ধ পঞ্জাব ব্যাটিংকে মাত্র ২৪.১ ওভারেই ১৯০ রানে অলআউট করে বাংলা। দুই পেসারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পঞ্জাব। আকাশদীপ ৩ ওভারে ৩১ রান দেন। ধারাবাহিক হলেও এই ম্যাচে উইকেট পাননি। কাইফও ৩ ওভারে ৩১ রান দিলেন। তবে দুটি উইকেটও নেন। স্পিনাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। তিনটি করে উইকেট শাহবাজ আহমেদ ও কৌশিক মাইতির। ২ উইকেট নিয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ৫২ রানের বড় জয় বাংলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 1 =