মালদা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক মহিলার মাথার চুল কেটে ও সূচ দিয়ে কপালে ৪২০ লেখা হল। ঘটনা সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। ঘটনার তিনদিন পর প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামে আসে পুলিশ। যদিও তার আগেই সালিশি করে অভিযুক্তর সঙ্গে মহিলার বিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধন করলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। যদিও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ছে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রায়ই রাতবিরেতে রাস্তায় ঘুরে বেরাত, এই নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। এরপর মহিলার মাথায় সূচ ফুটিয়ে ৪২০ লিখে দেওয়া হয়। এযন মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এমন নৃশংসতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাটি মালদার চাঁচল থানার খেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারনের বেদে পাড়ার। স্বামী মারা গেছে দু’বছর আগে। তারপর থেকে সে তার দুই মেয়েকে নিয়ে কান্ডারনে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু কয়েক মাস থেকে অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে এমনটাই অভিযোগ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সে মাঝে মাঝেই রাতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে যেত। তার শাশুড়ি এই সব বিষয় গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামে সালিশি সভাও হয়। পরে আবার সে বাড়ি থেকে বাইরে গেলে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর তার মাথার চুল কেটে কপালে খোদায় করে ৪২০ লেখা হয় এবং তাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়। ৪২০ লিখে দেয় তার শাশুড়ি। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ছবি ভাইরাল হতেই তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
ওই মহিলা জানায় অভিযুক্ত তার পরিবারের সদস্য সে সমস্ত কিছু মেনে নিয়েছে। তাই অমিও মেনে নিয়েছে। কারণ আমাকে এখানে থাকতে হবে তাই তাকে মেনে নিয়েছি।
যদিও তিনদিন আগে ঘটনা ঘটলেও পুলিশ গ্রামে যায়নি। এদিকে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হতেই পুলিশ পৌঁছয় গ্রামে। তার আগেই পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করে অভিযুক্তর সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ ঠিক করে সমস্যার সমাধান করে নেয়।
জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।