নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: ইসিএলের কাজোরা এরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা লোহা, তামা, পিতল সহ অন্যান্য বিভিন্ন দামি যন্ত্রপাতি চুরির অভিযোগ। অভিযোগ, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণে ও সুরক্ষার জন্য নেই কোনও কর্মী বা নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা। ফলে হামশাই সেখান থেকে লোহা সহ দামি যন্ত্রপাতি, মোটর চুরি যাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরও অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি চুরি হচ্ছে অথচ বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই ইসিএল আধিকারিকদের। ফলে জায়গাটি দুÜৃñতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চুরির বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির এজেন্ট তাপস কুমার সরকারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক দাবি করেন, বালিঘাট বহু বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী না থাকার কারণে এমনটা ঘটছে। কাজোরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার শান্ত কুমার চৌধুরী জানান, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন পরে বিষয়টি নিয়ে জানাবেন।
উল্লেখ্য, একটা সময় ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার জেকে রোপওয়ে (২/৭ – ২/৩ ) কোলিয়ারিতে কয়লা উত্তোলনের পর ফাঁকা জায়গা ভরাট করার জন্য বালি সরবরাহ করা হত দামোদর নদের মদনপুর ঘাট থেকে। নদী ঘাট থেকে রোপওয়ের মাধ্যমে সরাসরি বালি পৌঁছে যেত কোলিয়ারির বালি বাঙ্কারে। বেশ কয়েক বছর হল কোলিয়ারিটি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোপওয়ে, বালি ঘাটও বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলি এখন রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।