নদীর পাড়ের মাটি বেআইনিভাবে কেটে ট্রাক্টর করে বাইরে পাচারের অভিযোগ উঠল স্থানীয় মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এমনকী সেই মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে নদীপথে বিহারে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যথেচ্ছ ভাবে নদী পাড়ের মাটি কাটার ফলে চাষের জমিতে ক্ষতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন চাষিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের অন্তর্গত ভালুকা বাজার ঢালাই মোড়ের পাশে ফুলহার নদী সংলগ্ন এলাকায়। চাষের জমির পাশে দেদারভাবে মাটি কাটার ফলে কৃষিকাজের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে এক সময় চাষের জমি শেষ হয়ে যাবে। সেই মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। মাটি থেকে ইট তৈরি হয়ে নদীপথে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিহারে। বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের অন্তর্গত ভালুকা বাজার ঢালাই মোড়ের পাশে কয়েকদিন ধরে দেদারে চলছে মাটি কাটার কাজ। ৩ ফিটের জায়গায় কাটা হচ্ছে ৮- ৯ ফিট করে মাটি। পাশেই হচ্ছে ভুট্টা চাষ। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কাটা হচ্ছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে মাটি কেটে সেই মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটাগুলোতে। সেই মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট। যে ইট গোবরা ঘাট দিয়ে নদী পথে ট্রলির পর ট্রলি চলে যাচ্ছে বিহারে। এদিকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে এর আগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে। বিডিও, ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং আইসিকে নিয়ে গঠন হয়েছিলল কমিটি। তারপরেও কিভাবে মাটি কাটা চলছে তার নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বৈধভাবে মাটি কাটতে হবে। কেউ জোর করে কারো জমি থেকে মাটি কাটতে পারবে না। যদি অবৈধ ভাবে কিছু হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস বলেন, আমরা শুনেছি, সব কিছু খতিয়ে দেখে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।