মালদা: পদার্থ বিদ্যার প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হওয়ার আগেই ফল প্রকাশের অভিযোগ উঠল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (Gourbanga University) অধীনস্থ গঙ্গারামপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর কলেজের এই ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ গঙ্গারামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত দাস। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ গঙ্গারামপুর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকের চতুর্থ সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরীক্ষার আগেই কিভাবে ফল প্রকাশ হল গঙ্গারামপুর কলেজের। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোকজ করা হয় গঙ্গারামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত দাসকে। শোকজের উত্তর দিয়েছেন তিনি। তবে সেই উত্তরে সন্তুষ্ট নন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বিশ্বরূপ সরকার বলেন, ওরা যেটা করেছেন সেটা গর্হিত কাজ। শোকজ করছে যে উত্তর দিয়েছেন তা ঘোলাটে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত দাস বলেন, পরীক্ষার পরই রেজাল্ট আপলোড করা হয়েছে। হয়তো সেদিন প্রাক্টিক্যালের প্র্যাক্টিস চলছিল। আর এই ঘটনা ঘিরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীনস্ত কলেজগুলোর এটা পুরনো প্র্যাক্টিস। চিরকাল এইসব হয়ে আসছে। এই প্র্যাক্টিস বহুদিন ধরে চলে আসছে এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
রেজাল্ট বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, এটা অপদার্থতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্সপেক্টর অফ কলেজেস, রেজিস্টার কন্ট্রোলার রয়েছেন। তাদের থাকতে এই ধরনের ঘটনা অপদার্থতার পরিচয়।