যে আবাসনে খোদ কাউন্সিলর থাকেন সেই আবাসনেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগ। তুমুল শোরগোল উত্তরপাড়ায়। ফোন পেয়ে এলাকায় এল পুলিশ। তালাবন্ধ ফ্ল্যাট খুলে তিন যুবতী ও এক যুবককে আটকও করা হল।
কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার তো স্পষ্টই বলছেন, আমি কাউন্সিলর, আমার বাড়িতে যত না লোক আসে ওই ফ্ল্যাটে তার থেকে বেশি লোকজন আসতো। বেশ কিছুদিন ধরেই ঘটনাটা নজরে পড়ছিল। সূত্রের খবর, বিগত এক মাস আগে এক মহিলা ওই আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারপর থেকেই ওই আবাসনে বাইরের লোকজনের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
অভিযোগ, প্রয়াশই ওই মহিলার ফ্ল্যাটে অচেনা ছেলেমেয়েদের দেখা যেতে থাকে। কিন্তু, তাঁদের পরিচয় কিছুই জানা যেত না। তাতেই সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। ঘটনাচক্রে ওই আবাসনেই অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকেন এলাকার সিপিআইএম কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার। তিনিই আর এলাকার অন্যান্য বাসিন্দা ও আবাসনের অন্যান্য আবাসিকদের নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে দেন। খবর যায় পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ফ্ল্যাট খুলে এক যুবক ও তিন যুবতীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনায় কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার বলছেন, যখন মধুচক্র চলছিল তখনই ওদের ধরা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ঘটনাটা আমাদের নজরে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকলে মিলে যাই। তাঁর দাবি, এ ঘটনায় উত্তরপাড়ার মতো ঐতিহ্যবাহী শহরের কৌলিন্যে আঘাত আসছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার মধুচক্রের ঘটনা সামনে আসছে। এতে সমাজে কুপ্রভাব পড়তে পারে। গোটা ঘটনা পুলিশের খতিয়ে দেখা উচিত।