ফ্ল্যাট বিক্রিতে প্রতারণার অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলি: ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। নাম উঠে আসছে প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছেন দু’জনেই। কিন্তু, ফ্ল্যাট নিয়ে যে ক্রেতারা দীর্ঘ সমস্যায় ভুগছেন তা মানছেন বর্তমান চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে এখানে পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দ্রুত পুরসভার আয় বাড়তে হবে। সে কারণেই পুরসভার অধীনস্থ তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৩ সালে সানফ্লাওয়ার গ্রিন প্রজেক্ট লিমিটেড নামে একটি বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার হাত ধরে শুরু হয় কাজ। ঠিক হয় দশতলা বহুতল তৈরি হবে। থাকবে ৭২টি ফ্ল্যাট।
সূত্রের খবর, যে সময় এই কাজ শুরু হচ্ছে সেই সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন স্বপন সামন্ত। ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে উত্তম কুণ্ডু। ফ্ল্যাটের জন্য শুরুতে বুকিং করতে হত তারকেশ্বর পুরসভা থেকে। পরবর্তীতে বাসস্ট্যান্ডের কাছে নিজস্ব অফিস করে সানফ্লাওয়ার। জানানো হয় দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে ফ্ল্যাট। বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু, নিয়মের বাইরে গিয়ে রেজিস্ট্রি করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এখন ক্রেতার ফ্ল্যাটের চাবি মিললেও প্রতিশ্রুতি মতো সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, ইলেকট্রিকের অবস্থাও বেহাল। দশতলা বহুতলে দু’টি লিফটের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও, একটি লিফট বসানো হয়। কিন্তু, সেটিও অচল। এমনকি ফায়ার লাইসেন্স পর্যন্ত নেই বলে অভিযোগ। ৪০ থেকে ৫০ জন ক্রেতা জানাচ্ছেন আদপেই বসবাসের অযোগ্য এই ফ্ল্যাটগুলি। যে কারণেই প্রশাসনের কাছে লাগাতার অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু, কোনও সুরাহাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অসুবিধার কথা স্বীকার করে নেন বতর্মান চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু। আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে সমস্যা সৃষ্টির জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। পালটা তাঁকেই আবার দোষারোপ করেছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − nine =