নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর দেহের ময়নাতদন্ত না করেই পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি। দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্মশানেও। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দেহ পুড়িয়ে ফেলার আগেই পুলিশ শ্মশানে হাজির হয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাল। ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বাঁশিচণ্ডীপুর গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে গতকাল রাতে বাড়িতে শুতে যান বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বাঁশি চন্ডীপুর গ্রামের বছর ১৮ র যুবক মনোজ মাঝি। সকালে পরিবারের লোকজন দেখেন বাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মনোজের দেহ ঝুলছে। মনোজ আত্মহত্যা করেছেন এই দাবি করে পরিবার ও গ্রামের লোকজন মনোজের দেহের ময়নাতদন্ত না করিয়েই দেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান গ্রাম লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের ঘাটে। খবর পেয়ে শ্মশানে পৌঁছে যায় জয়পুর থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে চাইলে প্রথমে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। পরে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।