কোনও নোটিস ছাড়াই বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূল কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডেই রয়েতে বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ি। যার একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত এখন থেকে প্রায় এক মাস আগে। গত ১৮ অগাস্ট বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ি সংলগ্ন গ্যারেজের কিছুটা অংশ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিষয়টি নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও বিজেপি নেতা কথাও বলেন। বিজেপি নেতার দাবি, মেয়রের থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর তিনি ফের বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এরপর বুধবার ফের এলাকার কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসে তাঁর বাড়ি সংলগ্ন ওই গ্যারেজ নির্মাণের কাজ বন্ধ করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনকি ওই বিজেপি নেতাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতার দাবি, যেহেতু তিনি বিজেপি করেন, সেই কারণেই নাকি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির গ্যারেজ তৈরির কাজ করতে গেলে শাসকের ঝান্ডা ধরতে হবে বলেও চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের।
বিজেপি নেতার দাবি, তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও বিশেষ সুরাহা হয়নি। পুলিশের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও এফআইআর করা হয়নি বলে দাবি বিজেপি নেতার। এরপর তিনি বিষয়টি জানিয়ে মেয়র ও রাজ্যপালকেও মেল করেছেন। রাজভবন থেকে তাঁর মেলের উত্তরও এসেছে বলে জানাচ্ছেন সুনীল সিং এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বস্তও করা হয়েছে তাঁকে।
এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানাচ্ছেন, সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, সুনীল সিং যে অভিযোগ তুলছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও বাড়ি ভাঙা হয়নি বলেই জানান তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূলের এই কাউন্সিলরের সংযোজন, ওই বিজেপি নেতা ফুটপাথ দখল করে বেআইনি নির্মাণ করেছিলেন। গ্যারেজের সামনে একটি গুমটি ছিল। সেটি থাকার কারণে তিনি গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের করতে বা ঢোকাতে পারছিলেন না বিজেপি নেতা। সেই নিয়ে সুনীলবাবুই প্রথমে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়েই জানা গিয়েছে, গ্যারেজের একটি অংশ অবৈধ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ১৮ অগাস্ট ওই অংশটি ভেঙে ফেলে পুরনিগম। এমনকী ঘটনাটি যখন ঘটেছে, তখন তিনি শহরেই ছিলেন না বলে দাবি কাউন্সিলরের। সঙ্গে কটাক্ষের সুরে তৃণমূল কাউন্সিলর এও জানান, বিজেপি নেতা সুনীল সিং‘বদ্ধ পাগল’, ‘উন্মাদের’ মতো কথা বলছেন।