ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ, পদ থেকে সাময়িকভাবে সরানো হল প্রেসিডেন্সির অধ্যাপককে

ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জেরেই সাময়িকভাবে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) অভিযুক্ত অধ্যাপককে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও কাজ করতে পারবেন না তিনি। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।ঘটনার সূত্রপাত চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে। স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে। তিনি বলেন, অভিযুক্ত অধ্যাপক একাধিকবার তাঁকে যৌন হেনস্তা করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত মঙ্গলবার অভিযোগকারীকে নিয়ে সভা করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার অভিযোগের ভিত্তিতে পড়ুয়ারা ডিন অব স্টুডেন্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত অধ্যাপককে সমস্ত প্রশাসনিক ও পঠনপাঠন সংক্রান্ত কাজ থেকে অপসারিত করতে হবে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব থেকে অপসারিত করতে হবে। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল বিশ্বিবিদ্যালয়। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরানো হল অভিযুক্ত অধ্যাপককে।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। থিসিস পেপার সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 11 =