মেলায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিহার সীমান্ত লাগোয়া ভাটোল এলাকায়। নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষ গোস্বামী নামে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটোল গ্রামের বাসিন্দা ওই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে মেলায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিহার সীমান্তবর্তী ভাটোল এলাকার একটি পাট খেতে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে সন্তোষ গোস্বামী নামে ওই প্রতিবেশী ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে যায় ওই বালিকার বাড়ির লোক। পরে পাট খেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমেরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় যায়। পুলিশের তত্ত্বাবধানে রক্তাক্ত ওই নাবালিকাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই অভিযুক্ত ওই যুবকের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে বাংলা – বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে ওই যুবক জানিয়েছে সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে এবং সে বিহারের দিকে পালাতে চাইছিল। ওই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, ওই যুবক সম্পর্কে আমার দেওর হয়। তাই আমার মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে আসলে আমাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমরা জানতে পারি প্রতিবেশী ওই যুবক আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমরা চাই ওই ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি হোক।
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নুর আজম জানিয়েছেন, এলাকায় একটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা কথা শুনতে পেয়েছি। আমরা চাই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা ওই ধর্ষিতা নাবালিকার পাশে রয়েছি।