হবিবপুর : মালদার হাবিবপুরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে শনিবার সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, অভিভাবকদের অনুপস্থিতির সুযোগে গভীর রাতে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কাছেই একটি পুকুরের ধারে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুন করে নাবালিকার দেহ তার বাড়িতে ফেলে যায় ধর্ষক। এই ঘটনা চাউর হতেই খুনির ফাঁসির দাবিতে ক্ষুব্ধ মানুষজন বুলবুলচণ্ডীতে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গতকাল গভীর রাতে এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা। জিজ্ঞাসাবাদে তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খবর দেন হবিবপুর থানার আইসিকে। খবর পেয়ে হবিবপুর থানার আইসি অক্ষয় পাল দ্রুত পৌঁছে ওই যুবককে জেরা করতেই সে ভেঙে পড়ে। গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে। ওই যুবককে আটক করে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এরপই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। পুলিশ ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় আরএনরায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হবিবপুর থানার আইসি অক্ষয় পাল বলেন, ‘মৃতদেহ মালদা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’