রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালে

শহরের অন্যতম বেসরকারি হাসপাতালে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ।৩৯ বছরের এক মহিলার অস্ত্রোপচারের সময় তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মবিলার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় কলকাতার ফুলবাগান থানায় ইতিমধ্যেই শুক্রবারই  এক অভিযোগ দায়ের হয়। অভিয়োগে উল্লেখ করা হয়, সার্জারির সময় অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। এরপর মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে পড়েছিলেন বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে।

এদিকে ওই মহিলার পরিবার সূত্রে খবর, গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় ও অ্যানাস্থেসিয়া করে অজ্ঞান করা হয়।এরপর ১১ টা নাগাদ অস্ত্রোপচার শেষ হয়। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই ওই মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ, তখন ওই মহিলা দেখতে অনুভব করেন, তাঁর গোপনাঙ্গ কেউ স্পর্শ করছেন।পাশাপশি এটুকু বুঝতে পারছিলেন, তাঁর ডান পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ তাঁকে স্পর্শ করেছিলেন।কিন্তু অ্যানাস্থেশিয়া করার কারণে তাঁকে আটকানোর মতো ক্ষমতা ছিল না ওই মহিলার। এরপর  একটু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে উনি দেখেন তাঁর গোপনাঙ্গে দাগ রয়েছে। যা দেখে বুঝতে পারেন, তাঁর অনুমান সত্যি ছিল। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ওই সময় কোনও মহিলা কর্মী উপস্থিত ছিলেন না অপারেশন থিয়েটারে। ফলে তাঁর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে, সেটাও সঠিকভাবে জানেন না তিনি।

এদিকে ফুলবাগান থানায় শুক্রবার এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ।তবে এই অভিযোগ ঠিক কার বিরুদ্ধে, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ফলে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করাও সম্ভব হয়নি। এদিকে হাসপাতালে তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এদিনের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গেল রোগী সুরা নিয়ে।

এদিকে বেসরকারি হাসপাতালে মহিলার এই শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবশেষে মুখ খুললেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই বেসরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র সুমন্তিকা চৌধুরী জানান, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে যে একজন রোগীর সঙ্গে এমন এক অনুচিত কাজ করা হয়েছে এই হাসপাতালে। আর এই ব্যাপারে অভিযোগও জমা পড়েছে। এই ঘটনায় আমাদের হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন এবং এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে হাসাপাতালের তরফ থেকে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সুরক্ষা এবং সুচিকিৎসা প্রদান করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য এবং কর্তব্য। একইসঙ্গে হাসাপাতেল যাঁরা আসছেন তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান, সুরক্ষা প্রদানের এক আবহ বজায় থাকুক সে ব্যাপারেও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − thirteen =