কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে এই মুহূর্তে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির অভিযোগে এখন ইডির হেপাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।তারই মধ্যে রাজ্য সরকারের মাথা ব্যথা বাড়িয়ে সামনে এল কলেজ সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খোলা চিঠি দিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনে চাকরির মতো কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগেও বিপুল দুর্নীতি করে প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের কাছে যা প্রমাণ রয়েছে তাতে কলেজের দুর্নীতির কাছে স্কুলের দুর্নীতি অত্যন্ত সামান্য। ২০২০ সালে অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের সময় থেকেই বহুবার চিঠি, ই-মেলের মাধ্যমে আপনাকে তা জানানো হয়েছে, আপনি সবটাই অবগত আছেন।’
প্রসঙ্গত, সোমবারই বঙ্গ-সম্মানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “১ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হল। এতদিন অভিযোগ হল, জানতে পারলাম না। এখন ভাইরালের যুগ। কেউ অভিযোগ করল না। এত যে টাকা উঠল, আমি তো জানব? জানতে পারলাম না। কোনও টেলিভিশন মিডিয়াও জানায়নি। কেউ তো জানাতে পারেননি। জানালে তো তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হত। শুধু তাই নয়, বলতে পারেন কেন ১ লক্ষ জনের চাকরি হল, ২০০ জনের অভিযোগ এল?” এরপরই কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরি প্রার্থীরা খোলা চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
এর আগেও কলেজ সার্ভিস কমিশন নিয়ে সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারির পর এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাঁরা। পার্থ-ঘনিষ্ঠরা প্রভাব খাটিয়ে কাজের সুযোগ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না, তিনি একাধারে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। তাই, ২০১৮ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এড়াতে পারেন না। একইসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর, উচ্চশিক্ষা দফতর এবং কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিক, ইন্টারভিউ বোর্ডের কিছু সদস্য (নাম আমাদের কাছে আছে) এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যা আপনাকে বহুবার ইমেল ও চিঠিতে জানিয়েছি আমরা। বারবার নবান্নে গিয়েও আপনার কোনও সদুত্তর পাইনি।’