নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: কোতুলপুর ব্লকের গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে রেহেনা বিবি নামে এক প্রসূতিকে ভর্তি করেন তাঁর আত্মীয়রা। ওই দিনেই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তাঁর প্রসব যন্ত্রণা উঠলে পরিবারের আত্মীয়রা কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসককে জানান। অভিযোগ, তারপরেও ওই প্রসূতিকে দেখতে যাননি চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্স। দীর্ঘ সময় পর ওই প্রসূতির কাছে যান চিকিৎসক এবং নার্সরা। এরপর সেখানেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। পরিস্থিতি নিজেদের আয়ত্তের বাইরে দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিলা এবং তাঁর সদ্যোজাতকে রেফার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। তড়িঘড়ি বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে এলে এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এরপরেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে পরিবারের আত্মীয়দের মধ্যে। সেখান থেকে ওই মহিলাকে নিয়ে এসে পুনরায় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, মহিলা একটু সুস্থ হওয়ার পর সোমবার ওই রোগীর আত্মীয়রা আসেন গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে, সেখানে চিকিৎসক এবং নার্সদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক এবং নার্সদের গাফিলতির জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সৌমেন মুখোপাধ্যায় জানান, শিশুটি মায়ের পেটে থাকাকালীন নিজের মল খেয়ে ফেলে এবং যখন শিশুটি জন্মায় তখন, সে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছিল না। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য। হাসপাতালে উত্তেজনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।