কলকাতার বুকে বাড়ছে প্রোমোটারদের ‘দাদাগিরি’। এবার স্বামীকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে রেহাই পেলেন না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাও। প্রোমোটার এবং তাঁর সঙ্গীদের হাতে মার খেতে হল ওই মহিলাকে। এরপরই থানায় প্রোমোটার এবং স্থানীয় ক্লাবের কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় প্রোমোটারের এই দাদাগিরির প্রতিবাদে। এদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন প্রোমোটারের লোকজন।
এদিকে স্থানীয়রা এই ঘটনা সম্পর্কে জানান, তপসিয়ার গোবরা গোরস্থান এলাকায় একটি আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি ফ্ল্যাট কেনেন ওই দম্পতি। মোট ২৪ লক্ষ টাকায় এই চুক্তি হয় ওই প্রোমোটারের সঙ্গে। এরপর গত মে মাসে ওই দম্পতি এই ফ্ল্যাটে আসেন। প্রোমোটারকে ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে আক্রান্ত দম্পতির দাবি। বলা হয়েছিল, আবাসনের লিফটের কাজ এবং ফ্ল্যাটে যাবতীয় কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি ৩ লক্ষ টাকা দেবেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, সেই কাজ শেষ না করেই অপু দাস নামে ওই প্রোমোটার বাকি তিন লক্ষ টাকা চেয়ে বারবার তাগাদা দিতে থাকেন। সঙ্গে দেওয়া হতে থাকে হুমকিও।
এরপর সোমবার সন্ধ্যায় যখন আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী স্থানীয় বাজার থেকে ফেরার পথে প্রোমোটার এবং তাঁর লোকজন ওই ব্যক্তির উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। টাকা চেয়ে মারধর করা হয়। সেই সময় ওই গৃহবধূ স্বামীর চিৎকার শুনে স্থানীয় ক্লাবের সামনে ছুটে এলে তাঁকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূর দাবি, প্রোমোটার এবং ক্লাবের লোকজন তাঁদেরকে মারধর করেছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা জেনেও গায়ে হাত দিয়েছে প্রোমোটারের লোকজন। উল্টোদিকে এলাকার ওই প্রোমোটার অপু দাস আবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানাচ্ছেন, তিনি ওই মহিলার গায়ে হাত দেননি। ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে টাকা নিয়ে সামান্য বচসা হয়েছিল এবং হাতাহাতি হয়েছিল। দিনের পর দিন টাকা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি টাকা দিচ্ছে না। যে কারণে তিনি সেই টাকা চেয়েছিলেন। তাতেই ওই গৃহবধূর স্বামী রেগে গিয়ে মারধর করেন বলে পাল্টা অভিযোগ করছেন প্রোমোটার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।