নিজস্ব প্রতিবেদন, বিষ্ণুপুর: রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতর অভিযোগ তুলে সরব গ্রামবাসীরা। কটাক্ষ বিজেপির। তদন্ত হবে বলে জানাল তৃণমূল।
ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু এলাকার সমস্যার সমাধান হয় না। আবার কোথাও সমস্যার সমাধান হলেও সেখানে বাসা বাধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ। এমনই অভিযোগ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পাঁচাল গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁগ গ্রামের বাসি¨াদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে প্রায় দু’ কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই সেই গর্ত বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। দিনের পর দিন বাড়ছিল দুর্ঘটনার পরিমাণ। বারবার প্রশাসনকে জানানোর পর অবশেষে জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় গ্রামে নতুন পিচ রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রায় ৪০০ মিটার নতুন পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে আর সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের বাসি¨ারা। তাঁদের দাবি, রাস্তা তৈরির কয়েক দিনের মধ্যেই পিচ উঠে যাচ্ছে, কোথাও আবার রাস্তা বসে গিয়েছে।
সাংবাদিকদের সামনে গ্রামবাসীরা রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন। তা¥রা জানান, এই রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে। সে কারণেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, বারবার এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হলেও, তিনি এই সমস্যা সমাধানে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেননি।
তবে এসবের মধ্যে আশ্চর্যের কিছুই দেখছেন না বিজেপি বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি স্বরূপ ঘোষ। তিনি জানা, দুর্নীতি না করলে কালীঘাটে তার অংশ কী ভাবে পৌঁছবে। এটাই তৃণমূলের রীতিনীতি। তৃণমূল যেখানে, সেখানেই দুর্নীতি। তবে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়েনি বলেই দাবি করলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। তিনি জানান, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং যাঁরা দোষী তাঁরা শাস্তি পাবেন।