কোনও আইনজীবী মারফৎ বা ভার্চুয়ালি হাজিরা নয়, একেবারে শরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে নুসরত জাহানকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিতে দেখা গেল আলিপুর জজ কোর্টকে।
টলিপাড়ার তারকা যেমন নুসরত ঠিক তেমনই তিনি তৃণমূলের সাংসদও বটে। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফ্ল্যাট বন্টন নিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ ইডি তাঁকে সমনও পাঠায়। মঙ্গলবার তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ইডি দফতরে। তার আগে সোমবার জজ কোর্টে এই প্রতারণার অভিযোগসংক্রান্ত মামলাতেই নুসরত জাহানের হাজিরার কথা ছিল। যদিও তিনি আসেননি। সামাজিক বেশ কিছু দায়বদ্ধতা ও পারিবারিক কারণে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। এই তথ্য জানার পরই বিচারকও জানান, সশরীরেই হাজির হতে হবে তৃণমূলের তারকা-সাংসদকে। ৪ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি।‘
প্রসঙ্গত, সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে নুসরত জাহান-সহ মোট ৮ জনের নাম উঠে আসে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে এই সংস্থা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ৫০০ জনের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে টাকা নেওয়া হলেও, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সংস্থার যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সেখানে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে টাকা জমা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই গড়িয়াহাট থানার দ্বারস্থ হন ‘প্রতারিত’রা। একইসঙ্গে প্রতারিতরা এও জানান, গড়িয়াহাট থানার পুলিশ সে অভিযোগ নেয়নি। এরপর আলিপুর আদালতে দায়ের হয় মামলা। আদালত দু’বার নুসরতকে ডেকেছিল বলেও খবর। তবে হাজিরা দেননি তারকা সাংসদ। সম্প্রতি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সেই সব ‘প্রতারিত’দের নিজে সোজা হাজির হন ইডি দফতরে। তার ভিত্তিতে ইডি নুসরতকে মঙ্গলবার ডেকেছে। তার আগে সোমবার ছিল আলিপুর আদালতে হাজিরা। হাজির হননি তিনি। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৪ তারিখ শুনানি দিতে হবে।