আলিপুর সেন্ট্রাল জেল মিউজিয়ামে এবার পর্যটকদের জন্য রাত্রিবাসেও ব্যবস্থাও হতে চলেছে। তাঁরা দু’দিনের জন্য দেখতে চাইছেন জেলবন্দি থাকার অভিজ্ঞতা। আর তাঁদের সেই চাহিদা পূরণেই এবার এগিয়ে এল কলকাতা পুরসভা। হঠাৎ করে কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে এমনই প্রস্তাব আসছিল পর্যটকদের পক্ষ থেকে। বুধবার এই প্রস্তাবগুলি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় মেয়র পরিষদের বৈঠক বসে। সেখানেই ঠিক হয় যে, এবার মিউজিয়ামের পাশাপাশি জেলের ভিতর কটেজও তৈরি হবে। এবং থাকার ব্যবস্থা হবে গরাদের ভিতরেই। সূত্রের খবর, হিডকোর তরফে জেলে ৪৩টি সেলে থাকার বন্দোবস্ত করছে কলকাতা পুরসভা।
কারণ, জেলবন্দিরা বলেন, জেলের জীবন কষ্টের। ওই অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে কুঠুরিতে থাকার চেয়ে মৃত্যুও ভাল। আর জেলবন্দিদের দিন কেমন কাটতো এই অন্ধকার কুঠরিতে তা একেবারে হাতে গরমে পরখ করতে চান অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা। আর সেই কারণেই বেছে নিয়েছেন এই পথ।
সূত্রে খবর, আন্দামান গেলে পর্যটকদের একটা বিশেষ পছন্দ সেলুলার জেলে ট্যুর। এদিকে আবার উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্র সরকারও এমন জেলের মধ্যে পর্যটনের বন্দোবস্ত করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। সেই পথে এবার পা বাড়াল কলকাতার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলও। পরাধীন ভারতের বীর বিপ্লবীদের সম্মান জানিয়ে গতবছরই শুরু হয় জেল মিউজিয়াম। ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থল, নেতাজি বন্দি থাকা সেই গারদ-সহ আরও নানা জায়গা ঘুরিয়ে দেখানো হয় পর্যটকদের। পাশাপাশি শুরু হয় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’।
এর বাইরে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আরও পঞ্চাশটি মতো সেল তৈরি হয়েছিল। এবার সেগুলিকেই কটেজে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ওই সেলগুলিতে আধুনিক শয্যা, সোফা, বাতানুকূল যন্ত্র, টিভি, ফ্রিজ, আধুনিক শৌচালয়-সহ নানারকম আয়োজন থাকবে। ঘর পাওয়া যাবে দু’রকম- স্ট্যান্ডার্ড এবং ডিলাক্স। রুম অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাড়া। এছাড়াও থাকবে ক্যান্টিন। রুম সার্ভিসের ব্যবস্থাও করা হবে পর্যটকদের সুবিধার্থে।