ইউরোতে দ্রুততম গোল আলবেনিয়ার, ইতালি ২-১ গোলে জিতল

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। চাপও কি সেই কারণেই বেশি? হতে পারে। ইতালির ক্ষেত্রে এমনটাই হল। ইউরো কাপে জয় দিয়েই শুরু করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে পুরো ম্যাচেই যেন কাঁপল আলবেনিয়ার সামনে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বড় মঞ্চে খেলছে আলবেনিয়া। ম্যাচের প্রথম অ্যাটাক থেকেই গোল করে এগিয়ে যায় আলবেনিয়া। ২৩ সেকেন্ডের গোলে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া, অঘটনের ইঙ্গিত ছিল। ইউরো কাপের ইতিহাসে (মূল পর্বে) এটিই দ্রুততম গোল। শেষ মিনিট অবধি চ্যাম্পিয়নদের চাপে রাখলেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল আলবেনিয়াকে।

ম্যাচের মাত্র ২৩ সেকেন্ড। ইতালির মজবুত ডিফেন্সের মানসিকতায় বড় আঘাত করেন নেদিম বাজরামি। চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচে ফিরলেন চ্যাম্পিয়নের মতোই। ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে ইতালি। আলেজান্দ্রো বাস্তোনির আন্তর্জাতিক ফুটবল কেরিয়ারে দ্বিতীয় গোল। মহা মূল্যবান গোলও বলা যায়। পিছিয়ে থাকা ইতালি। এই ছবিটা কেই বা প্রত্যাশা করেছিল। অন্তত আলবেনিয়ার সঙ্গে ইতালির যে ফারাক, তাতে তো নয়ই। স্বস্তি ফেরে বাস্তোনির সৌজন্যে।

ইতালির স্বস্তি বাড়ে আরও কিছুক্ষণের মধ্যেই। ১৬ মিনিটে নিকোলা বারেলার গোলে লিড নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ফুটবলে সঠিক সময়ে, সঠিক প্লেয়ার থাকা কতটা জরুরি, বারেলার গোলটাই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় উপস্থিত ছিলেন। আলবেনিয়া বক্সের মধ্যে বল পেয়েও গোল করার পরিস্থিতিতে ছিলেন না দিমার্কো। সামনেই ছিলেন আলবেনিয়া ডিফেন্ডার আসানি। চাপের পরিস্থিতিতে ‘আসানি’তে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। দিমার্কো পাস বাড়ান। বক্সের বাইরে ছিলেন বারেলা। সেই বলেই শট এবং স্কোর লাইন ইতালির পক্ষে ২-১।

স্কোর লাইন যতই বলুক চ্যাম্পিয়নরা ২-১ জিতেছে, এই জয়ে কতটা ঘাম ঝরাতে হয়েছে, ইতালি প্লেয়াররা খুব ভালো জানেন। গ্রুপ পর্বে এরপর স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ ইতালির। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০  হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছে স্পেন। তাদের বিরুদ্ধে ইতালির পরিস্থিতি সঙ্গীন হবে না তো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 8 =