এনসিপি-র প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ অজিত গোষ্ঠী

শিবসেনার পথেই এবার চলতে শুরু করেছেন মরাঠা কাকা-ভাইপো। এবার এনসিপি-ও দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়াই শুরু করলেন তাঁরা। এ বার এনসিপির পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’-র অধিকার দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল অজিত গোষ্ঠী।

ভাইপোর এমন পদক্ষেপের সম্ভাবনা আগেই আঁচ করেছিলেন কুশলী মরাঠা রাজনীতিক শরদ। মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল তাঁর শিবির। তাঁদের না জানিয়ে অজিত গোষ্ঠীকে যাতে একতরফা ভাবে এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ দেওয়া না হয়, সে জন্যই কমিশনে হলফনামা দেওয়া হয়েছে।

শরদ গোষ্ঠী সূত্রের খবর, কোনও রাজনৈতিক দলে ভাঙনের সময় দলের পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক বণ্টনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কার্যত ‘বিচারবিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল’-এর ভূমিকা পালন করে। যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সমর্থক বিধায়ক, সাংসদ-সহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং সাংগঠনিক পদাধিকারীদের তালিকা পরীক্ষা করে কয়েক দফার শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে কমিশন।

কোনও গোষ্ঠীর গরিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তাদের নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অধিকার দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সাম্প্রতিক কালে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ভাঙনের সময় উদ্ধব ঠাকরের আপত্তি উড়িয়ে একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছিল কমিশন।

এদিকে সংঘাতের এই আবহেই বুধবার মুম্বইয়ে বৈঠক করে এনসিপির দুই গোষ্ঠী। নরিম্যান পয়েন্টে যশবন্ত রাও চৌহান সেন্টারে শরদের বৈঠকে হাজির ছিলেন এনসিপির ১৩ বিধায়ক, ২ বিধান পরিষদ সদস্য এবং লোকসভা এবং রাজ্যসভার তিন জন করে সাংসদ। অন্যদিকে অজিত শিবিরের দাবি, তাঁদের বৈঠকে ৪০ জন বিধায়ক উপস্থিত হয়ে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের হলফনামায় সই করে সমর্থন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 1 =