ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ে

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বা সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আপাতত ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন না। সূত্রের খবর ক্যাম্পাসে না গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কোনও একটি জায়গা থেকেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন। শুধু তাই নয় ঘনিষ্ঠ মহলে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন আপাতত এই আন্দোলন চললে তিনি ক্যাম্পাসে যাবেন না। যদিও এই বিষয় নিয়ে সুরঞ্জন দাসের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বা সহ- উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাঁরাও ঘেরাও-এর সম্মুখীন হতে পারেন।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই ছাত্র ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবারই এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেলন ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ছাত্র ভোট করানো যায় নাকি সেই বিষয়ে দেখা হবে।’ এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে এসএফআই-সহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে টানা আন্দোলনে বসেন। তাঁদের দাবি, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করতে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে। যদিও এই দাবির সঙ্গে এখনও পর্যন্ত একমত নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়,উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এও মনে করছেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে  পড়ুয়াদের আন্দোলন আরও গতি পাবে। আর তাই সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্যরা ক্যাম্পাসে যেতে চাইছেন না। কারণ এর আগে ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টানা ঘেরাওয়ের সম্মুখীন হয়েছেন উপাচার্য, সহ উপাচার্যরা। তবে এবার সেই পরিস্থিতির দিকে হাঁটতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার জন্যই এবার পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাবধানী কৌশল নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলোর মত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন করিয়েছিল। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানো যায়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে নতুন ছাত্র ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য ছাত্র ভোটে যেতে চাইছে না বলেও সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট হলে প্রয়োজন হবে পুলিশ নিরাপত্তা। পাশাপাশি আরও একাধিক বিষয়কে ছাত্র ভোট করাতে গেলে মাথায় রাখতে হবে। তাই সেই সব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য ছাত্র ভোট করাতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্জৃপক্ষ বএবং রাজ্য সরকারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − eleven =