ফের প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস সেক্টর ফাইভে

কলকাতা: প্রতারণা চক্রের আঁতুর ঘর যেন হয়ে উঠেছে সল্টলেক আর তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। কারণ, ফের আরও এক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস হল এই সল্টলেকেই। মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর নামে চলছিল এই প্রতারণা। আর এই প্রতারণা চক্র চালাতে সেক্টর ফাইভ চত্বরে একটি অফিসও ভাড়া করা হয়। আর সেখান থেকেই এক কল সেন্টারেরর নামে চালানো হচ্ছিল এই প্রতারণা চক্র। এই ঘটনায় অভিযোগ কানে আসতেই ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন মহিলা। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই এই ধরনের প্রতারণা চক্রের বিষয়ে অভিযোগ আসছিল বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। এই অভিযোগ আসার পর থেকেই খোঁজখবর শুরু করেন সংসিশ্লষ্ট থানার আধিকারিকেরা। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২৮ জনকে। অভিযুক্তদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, সেক্টর ফাইভের যে অফিসটি কল সেন্টারের নামে খোলা হয় তা বাইরে থেকে দেখেত এক কর্পোরেট সংস্থার মতোই। আর তারই আড়ালে চলছিল এই প্রতারণার কারবার। এখান থেকেই বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে ফোন করে মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হত। আর সেই ফাঁদে কেউ পা দিলেই সর্বনাশ। বিভিন্ন পারমিশন করানো এবং অন্যান্য নানা কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত। কিন্তু তারপর আর সেখানে টাওয়ার বসানো হত না। এইভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল প্রতারণার কারবার। শেষ পর্যন্ত বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে অতর্কিতে হানা দেন। ২৮ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, কতজনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছিল, সেই সব বিষয়ে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার আধিকারিকেরা। পাশাপাশি এই গ্রেপ্তারি বিধাননগর পুলিশের জন্য একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কমিশনারেটও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − eighteen =