তীরে এসে তরী ডুবল। আইএসএলের প্রথম জয় থেকে বঞ্চিত হল মহমেডান স্পোর্টিং। শনিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল সাদা কালো ব্রিগেড। একটুর জন্য হাতছাড়া হল জয়। ম্যাচের বয়স তখন ৯৩ মিনিট। সমর্থকদের সেলিব্রেশন শুরু। মাত্র তিন মিনিট লিড ধরে রাখতে হত কলকাতার প্রধানকে। কিন্তু আচমকাই বদলে গেল ম্যাচের রং। আবার সেই সংযুক্তি সময় গোল খেল মহমেডান। ঠিক উদ্বোধনী ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। সেদিনও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির কাছে গোল খেয়ে পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছিল। তবে এবার হারতে হল না। ম্যাচ ড্র হল। আর্মান্দো সাদিকুর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় গোয়া। মোহনবাগানের বাতিল ঘোড়া সাদা কালো ব্রিগেডের পয়েন্ট কাড়ল। তবে তিন পয়েন্ট না এলেও আবারও মন জিতে নিল আন্দ্রে চের্নিশভের দলের খেলা।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল। আই লিগ থেকে আইএসএলে এই প্রথম। তবে যে ফুটবল খেলছে মহমেডান, সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সপ্তাহান্তে সমর্থকদের মন জয় করে নিল। আইএসএল শুরুর আগে কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক ম্যাচে জয় না এলেও ভাল ফুটবল খেলার চেষ্টা করবে তাঁর দল। প্রথম দুই ম্যাচে কথা রাখলেন রুশ কোচ। এদিন নর্থ ইস্ট ম্যাচের ভুল করেনি মানজোকি, অ্যালেক্সিসরা। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস গোমেজ। বক্সের মধ্যে ফ্রাঙ্কোকে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন অ্যালেক্সিস। আইএসএলে মহমেডানের হয়ে প্রথম গোল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান আর্জেন্টাইন। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন গোলশূন্য ছিল। যদিও গোলের বেশ কয়েকটা সুযোগ পায় মহমেডান।
ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ এসেছিল। মাকান ছোটের শট বাঁচিয়ে দেন গোয়া কিপার কাট্টিনানি। মূলত বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠছিল মহমেডান। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আবার গোয়ার পতন রোখেন কাট্টিমানি। মুহুর্মুহু আক্রমণ করে সাদা কালো ব্রিগেড। একটা সময় গোয়ার রক্ষণ চাপে পড়ে গিয়েছিল। ২৮ মিনিটে আবার ফ্রাঙ্কোর শট বাঁচান কাট্টিমানি। বিরতির আগে ফ্রিকিক থেকে গোলে শট নেন অ্যালেক্সিস। কোনওক্রমে বাঁচান গোয়ার কিপার। দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ছিল কলকাতার প্রধানের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি অ্যালেক্সিস, ফ্রাঙ্কোরা। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও দাপট কমেনি সাদা কালো ব্রিগেডের। গুটিয়ে যাওয়ার বদলে, গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে। আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন ফ্রাঙ্কো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গোল পেলেন না ব্রাজিলিয়ান। একাধিক গোল মিসের খেসারত দিতে হল মহমেডানকে। ম্যাচের ৯০+৪ মিনিটে হেডে গোল করে সমতা ফেরান সাদিকু। আবারও জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে এল কলকাতার তৃতীয় প্রধান।