অস্ত্রোপচারের পর মাথায় চিপ বসানো হলেও এখনও পুরো সুস্থ নন মুকুল

বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচার করে ‘চিপ’ বসানোর পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুকুল রায়। তবে রায় পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ি ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ নন মুকুল রায়। কারণ, এখনও শট টার্ম মেমরি লসের সমস্যায় ভুগছেন মুকুল রায়। সঠিকভাবে কথাও বলতে পারছেন না তিনি। একইসঙ্গে কিছু মানুষের মুখও মনে রাখতে পারছেন না। মুকুল রায় পুত্র শুভ্রাংশু এও জানান ‘বাবা এখনও খুবই দুর্বল। খুব একটা উঠতে পারছেন না। আগের তুলনায় ভালোও বলব না, খারাপও বলব না।’ একইসঙ্গে শুভ্রাংশু এও জানান, কিছু মানুষকে তিনি এখনও চিনতে পারছেন না।বাড়ির সদস্যদের চিনতে পারলেও কিছু মানুষের নাম এখনও ভুলে যাচ্ছেন। শর্ট টার্ম মেমরি লসের সমস্যা এখনও পুরোপুরি মেটেনি। শুভ্রাংশু আরও জানান, মুকুল রায় কেমন আছেন সেই বিষয়ে জানতে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন মুকুল রায়। মূলত স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, মস্তিষ্কে জমেছিল জল। আর এরই কারণে শর্ট টার্ম মেমরি লসের মতো সমস্যায় পড়েন তিনি। আর এই অসুস্থতার জন্য রাজনীতির ময়দানে সেভাবে দেখাও যায়নি মুকুল রায়কে। তবে এখানে এখটা কথা বলতেই হয়, তাঁকে উল্লেখ করা হতো ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’ বলে। এরপরই তাঁর মস্তিষ্কের অপারেশনের পরামর্শ দেনও তাঁরা। এরপরই চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। যার প্রভাব পড়তে থাকে তাঁর শরীরের উপরেও। এরপর বিভিন্ন সময় তাঁকে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেও শোনা যায়। এরপরেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গটি সামনে আসে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে ভোটে লড়াই করে জয়ীও হন তিনি। কিন্তু, ফলাফল ঘোষণার কিছুদিন পরেই ফের তৃণমূল ভবনে স্বপুত্র উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এদিকে বিজেপি ছাড়েন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − fifteen =