এবার কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পথে নামল বিজেপি। গত দু’দিন ধরেই এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। কলকাতা পুরসভা বাজেট বিতর্ক নিয়ে অধিবেশনে কাউন্সিলর মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট জানা কতটা জরুরি তা বোঝাতে গিয়ে একটি গল্প শুনেয়েছিলেন। বলেও ছিলেন, এটা নেহাত একটা গল্পই। কিন্তু তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়।
অনন্যা ব¨্যােপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করার দাবিতে নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর দায়ের করল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। তার পর হাজরা মোড় থেকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। আটক করে নেতাদের।
গত সোমবার, পুরসভার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে অনন্যা গল্পের ছলে যা বলেছিলেন, তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় বিতর্ক। ‘ফাদার’ এবং ‘নান’-এর সম্পর্কে গল্প শুনিয়েছিলেন কাউন্সিলর। উদ্দেশ্য ছিল কার্যক্ষেত্রে পুরসভার আইন জানাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝানো। কিন্তু সেই গল্পে ‘যৌনতা ’ সংক্রান্ত ইঙ্গিত দেন। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। গল্পে বলা হয় বাইবেলের ১১২ নম্বর অধ্যায়ে ‘গভীরে যাও, আরও গভীরে যাও’ বলা হয়েছে। সেই সময়েই প্রতিবাদ ওঠে বিজেপির তরফে। বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ ছাড়াও প্রতিবাদ করেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝাও। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গেও অনন্যার বাদানুবাদ হয়। সুস্মিতা বলেন, ‘ফাদার-নানের সম্পর্কে ‘সেক্স’ শধটি উচ্চারণ করে অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ করেছেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ প্রসঙ্গত, সুস্মিতা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এ বার এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপি।
তবে, তৃণমূলের একটি অংশ মনে করছে, খলিস্তানি বিতর্কে ‘কোণঠাসা’ বিজেপি পাল্টা পুর অধিবেশনে এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বলা ‘যৌনগন্ধী’ গল্পকে হাতিয়ার করতে চাইছে।