সুপার কাপ হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের। জয়ের কাছে এসেও ট্রফি হাতে তোলা হল না লাল-হলুদ ব্রিগেডের। রবিবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে এফসি গোয়ার ৬-৫ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয় অস্কার ব্রুঁজোর দলকে। সুপার কাপ জেতার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল লাল-হলুদ সমর্থকদেরও। মক্ষম সময়ে এসে পেনাল্টি মিস করলেন মহম্মদ রশিদ এবং পিভি বিষ্ণু।
ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ শক্তিশালী এ কথা অতি বড় লাল-হলুদ বিরোধীও অস্বীকার করবে না। ম্যাচের শুরু থেকেই গোয়া চেষ্টা করছিল মাঝমাঠে ইস্টবেঙ্গলকে বেধে ফেলতে। শুরুতেই তিন মিনিটের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল গোয়া। বোরহা হেরেরা লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন জেভিয়ার সিভেরিওকে। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল্লে বাঁচিয়ে দেন। ২০ মিনিটের মাথায় গোলকিপার প্রভসুখন গিলের থেকে বল পেয়ে হিরোশি ইবুসুকি তা বাড়িয়ে দেন বিপিনের দিকে। বিপিন সেই বল নিয়ে ক্রস করেন নাওরেম মহেশকে। তবে মহেশ সেই বল ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলেন না। প্রথমার্ধে একটানা আক্রমণ করছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের সময় যত এগোচ্ছিল দুই দল ছন্দ হারিয়ে ফেলছিল। শুরুতেই অবশ্য বক্সের ৩০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার শট নিয়ে গোলের চেষ্টা করেন আয়ুষ ছেত্রী। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তাঁর সেই শট। ৬৩ মিনিটের মাথায় ভালো সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মিগুয়েলের ব্যাকহিল সোজা চলে যায় ডানদিকে থাকা বিপিনের দিকে। বিপিন ক্রস করেন হিরোশিকে। তবে হিরোশির দুর্বল শট গোয়া গোলকিপার হৃতিক তিওয়ারির হাতে জমা পড়ে। ৬৫ মিনিটে মহেশকে তুলে বিষ্ণুকে নামিয়েছিলেন বিনো জর্জ। ৭৪ মিনিটে মিগুয়েলের পাস পেয়ে গোয়ার বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন বিষ্ণু। তাঁর শট আটকে দিলেও হৃতিকের হাত থেকে বল পিছলে যায়। গোললাইন পেরনোর ঠিক আগে তা বার করেন গোয়া গোলকিপার। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা প্রতিবাদ করলেও লাইন্সম্যান গোল দেননি। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকল এটি। ৯০ মিনিট এভাবে শেষ হলেও, অতিরিক্ত সময়ে গোয়ার ফুটবলাররাই দাপট দেখাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে বিপিনের জায়গায় নামেন হামিদ আহদাদ। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের মহম্মদ রাকিপের ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন সিভেরিও। তবে বিপদ ঘটেনি ইস্টবেঙ্গলের জন্য। অতিরিক্ত সময়েও গোলশূন্য থাকলে টাইব্রেকারে খেলা গড়ায়। আইএফএ শিল্ড ফাইনালের পর আরও একবার টাইব্রেকারে হারল ইস্টবেঙ্গল।

