নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: ‘৪ তারিখের পরে মানুষ বলে দেবে দিদি ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা’, বর্ধমানে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কর্মীদের নিয়ে চায়ের আড্ডায় বললেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় বলছেন, মানুষ চাইলে মাথানত করে সরে যাব। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি বুঝতে পেরেছেন সরিয়ে দেওয়ার আগে সসম্মানে সরে যাওয়া ভালো। আর এটা ৪ তারিখের পরে মানুষ কিন্তু বলে দেবে যে দিদি ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা।’ নন্দীগ্রাম এখনও জ্বলছে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,‘ইলেকশন যেখানে যেখানে হচ্ছে দক্ষিণবাংলায় সব জায়গায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা হচ্ছে। কারণ টিএমসির জেতার কোথাও চান্স নেই, গণ্ডগোল করে ভয় দেখিয়ে ভোটারদেরকে,আমাদের কর্মীদেরকে না বেরিয়ে যাতে ভোট না দেয় এসব করে কোনও কিছু আটকাতে পারবে না, এই হিংসা টিংসা যা করার এই ইলেকশনে করে নিচ্ছে, এরপরে পশ্চিমবাংলায় আর এরকম কেউ করতে পারবে না।’
শুক্রবার বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তারপর তিনি বিরহাটা এলাকায় চায়ে পে চর্চায় যোগদান করেন। বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘খুন খারাপি তো চলতেই থাকে, এই প্রথম বোধহয় খুন হল এই নির্বাচনে। ইলেকশনকে কেন্দ্র করে খুন খারাপি তো হয়েই থাকে। একজন ৫৬ বছরের মহিলাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলায় মহিলাদের কী সুরক্ষা আছে এটা বোঝা যাচ্ছে। আপনারা শুনেছেন বাংলাদেশে একজন এমপি তিনি ট্রিটমেন্ট করাতে এসেছিলেন তিনিও খুন হয়ে গিয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবাংলায় কার সুরক্ষা আছে। দেশি-বিদেশি স্ত্রী পুরুষ, ধনী-গরিব গ্রাম শহর কোথাও সুরক্ষা নেই, সেটা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এটা বিচার করুক।’
ইলেকশন কমিশনের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশনের সক্রিয়তা আছে বলেই প্রত্যেকটি মানুষ ভোট দিয়েছে। কেউ বলতে পারবে না যে আমাকে ভোট দিতে দেয়নি। কিন্তু সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের নয় এটা তো প্রশাসনের, পুলিশের কাজ। ওরা চলে গিয়েছেন তাই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন এটা আগে ছিল পরেও থাকবে। যেটা হচ্ছে না মানে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকার এটা করাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছে, জায়গা আপনি ঠিক করুন মঞ্চ আপনি ঠিক করুন সরাসরি ডিবেট হবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেখুন প্রধানমন্ত্রীর কোনও কাজ নেই যে ওঁদের মতো ফালতু লোকেদের সঙ্গে ডিবেট করবে,যাদের কোনও কাজ নেই ডিবেট করবে।
গোরু পাচার চক্র অন্যতম পান্ডা এনামুলের সংস্থার টাকা দেবের সিনেমায় ইনভেস্ট করা হয়েছে, পরে যদিও বলা হচ্ছে যে, সেই টাকা দেব ফিরিয়ে দিয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তরের দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এইসব তথ্য প্রমাণ আছে বলেই ইডি-সিবিআই ডাকছে বহুলোককে, আমাকেও ডাকা হয়েছে, এখন দেখা যাক তথ্য প্রমাণ যদি থাকে কোর্টে গিয়ে তার জবাব দিতে হবে, পাঁকেতে যারা ঢুকেছেন, টিএমসি পার্টিতে যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের গায়ে কালি লেগেছে। কলকাতার রাজপথে সাধু সন্ন্যাসীরা প্রতিবাদে নামছেন, পশ্চিমবাংলার সমস্ত মানুষ সমস্ত পেশার মানুষ কোনও না কোনও ভাবে প্রতারিত। তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। বাকি ছিলেন সাধু সন্ন্যাসীরা। মমতা ব¨্যােপাধ্যায় তাঁদেরও অসম্মান করেছেন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন আজকে মঠ মন্দির চালানো মুশকিল টিএমসি থাকলে।’